সাতক্ষীরা: শ্যামনগর উপজেলার আদিবাসী ‘মুণ্ডা’ সম্প্রদায় শিক্ষা, সংস্কৃতিতে পরিবর্তন এসেছে।

ইপেপার / প্রিন্ট ইপেপার / প্রিন্ট
৪২

মোঃ ফরিদ উদ্দিন
শ্যামনগর প্রতিনিধি

দুইশ বছরেরও আগে ভারতের রাচি থেকে এদেশে আসা মুণ্ডাদের রয়েছে স্বতন্ত্র ভাষা, ধর্ম ও সংস্কৃতি। মুন্ডারা মূলত দক্ষিণ এশিয়ার একটি বড় উপজাতি। ভারতের ঝাড়খন্ড ছত্রিশগড় ছোটনাগপুর মধ্যপ্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গ এদের বসবাস করে। এছাড়া বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এদের বসবাস রয়েছে।প্রতিকূল পরিবেশে কঠোর পরিশ্রম করতে পারায় তৎকালীন শাসক জমিদাররা সুন্দরবনের গাছ কেটে বসতি গড়তে মুণ্ডাদের এদেশে এনেছিলেন বলে জনশ্রুতি রয়েছে। তারপর আর ফিরে যাওয়া হয়নি তাদের।

- Advertisement -

সুন্দরবন সংলগ্ন সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ কালিঞ্চি, ভেটখালী, তারানিপুর, সাপখালী, ধুমঘাট, কাশিপুর, কচুখালী উওরকদমতলা এলাকায় বসবাস করে আদিবাসী মুণ্ডারা। সাতক্ষীরা উপকূলে মুণ্ডা জনগোষ্ঠী রয়েছে আড়াই সহস্রাধিক।

এছাড়া খুলনার কয়রায়ও রয়েছে তাদের বসবাস।
…শ্যামনগরে মুণ্ডাদের নিজস্ব সাংস্কৃতিক ঐহিত্য ধরে রাখতে কাজ করছে ক্যারামমুরা নাট্য গোষ্ঠী নামের একটি সংগঠন।

এই নাট্য গোষ্ঠীর পরিচালক গোপাল চন্দ্র মুণ্ডা তিনি বলেন, আমরা এখানে যুগ যুগ ধরে থাকলেও সুন্দরবনে আসার আগে আমাদের অবস্থান কোথায় ছিল, সে সম্পর্কে কোনো ধারণা ছিল না আমাদের। ২০১৭ সালে উৎসের সন্ধানে বেরিয়ে জানা যায় প্রকৃত ইতিহাস।

রাচি ছিল আমাদের আদি নিবাস। আমরা ভারতের রাচিতে গিয়ে এর তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে নিয়ে আসি।

একই সঙ্গে পূর্বপুরুষদের সম্পর্কেও জানতে পারি।
তিনি জানান, ‘মুণ্ডারী’ ধর্মের অনুসারী মুণ্ডাদের প্রধান উৎসব ‘করম পূজা’। বাংলা ভাদ্র মাসের একাদশী তিথিতে এই উৎসব পালন করা হয়। আর মুণ্ডাদের নিজস্ব ভাষা ‘সাদরী’ এবং সংস্কৃতির প্রধান ধারক ও বাহক ‘বন্দনা নৃত্য’। সুন্দরবন এলাকার মুণ্ডাদের জীবন-জীবিকা কৃষির উপরই নির্ভরশীল।

শিক্ষা,ধর্ম ,আর্থসামাজিক,অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি এবং সাংস্কৃতিক ঐহিত্য ধরে রাখার পাশাপাশি মুণ্ডাদের উদ্যোগে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের উত্তর কদমতলা গ্রামে গড়ে উঠেছে আদিবাসী মুন্ডা সংস্থা (সামস )নামের একটি সংগঠন । এই সংগঠনের তাপস মুন্ডা বলেন আমরা আদিবাসী মুন্ডা সম্প্রদায়ের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া বাল্যবিবাহ শিক্ষা-সংস্কৃতি নিয়ে মূলত আমরা কাজ করি।
মুন্সীগঞ্জে ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অনিমেষ কুমার পরিমল অভিযোগ করে বলেন আমাদের ছেলেমেয়েরা এখন উচ্চশিক্ষিত ,শিক্ষিত আদিবাসী হিসাবে সরকারি কোটা অনুযায়ী যথাযথ অনুসরণ করে সরকারি চাকরি পাওয়ার দাবি করেন তিনি।

এই বিভাগের আরও সংবাদ