গোমস্তাপুরে পানির সেচ দেওয়া কে কেন্দ্র করে মারামারি আহত-২ একজনের অবস্থা আশঙ্কাজক রাজশাহীতে রেফাড

ইপেপার / প্রিন্ট ইপেপার / প্রিন্ট
২২

আমিনুল ইসলাম: চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার পার্বতীপুর ইউনিয়নের জনন্নাথপুর গ্রামাস্থ মাঠে গভীর নলকূপের পানি সেচ দেওয়া কে কেন্দ্র করে মারামারি আহত-২ একজনের অবস্থা আশঙ্কাজক রাজশাহী সরকারি মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন

- Advertisement -

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মোজাম্মেল হক লিখিত অভিযোগে বলেন, গত (২০ মার্চ) রাত আনুমানিক ০২: ৩০ মিনিটে গোমস্তাপুর থানাধীন পার্বতীপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামস্থ মাঠে আমার নামীয় জমিতে সেচ দেওয়ার সময় জেম আলী(৩২) পিতা কালু সাং গোপিনাথপুর মাদ্রাসাপাড়া জোরপূর্বক তার জমিতে পানির লাইন ঘুরিয়ে নেয়। ওই সময় আমি বাধা দিয়ে আমার জমির পানির শেষ হওয়ার পর তাকে পানির লাইন ঘুরাতে বললে আমার উপরে ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং অভিযোগ উল্লেখিত সকল বিবাদীদের ঘটনাস্থলে হাজির হয় এবং রাত অনুমান দুইটা ৪৫ মিনিটে (০১) কালু(৫৫) (০২) ভোদু (৪৫) (০৩) লালু(৫০) (০৪) জেম আলী(৩২) (০৫) জিয়াউর (৩৫) (০৬) হামেদ (৪৫) (০৭) আহসান(৩৮) (০৮) মিঠুন আলী,(২৬) সহ আরো অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জন উপস্থিত হয়ে। উক্ত ঘটনার জের ধরে বিবাদীদের হাতে কোদাল, লাঠি, লাদনা মারমুখী আচরণ করে। ওই সময় আমার ভাতিজা সেলিম রেজা(২৫) আমাকে উদ্ধারের জন্য এগিয়ে আসলে কালুর হাতে থাকা কোদাল দিয়ে আমার ভাতিজাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় কোদালের উল্টো পাশ দিয়ে আঘাত করে, সে সময় তার মাথা কোদালের আঘাতে গুরুতর ভাবে আহত হয়। এ সময় হাত দিয়ে প্রতিহত করতে গেলে তার হাত ভেংগে যায় ও মাথায় গুরুতর আঘাত এবং ডান গাল কাটে রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। ঐ সময় ভোদু ও লালু ভাতিজার কাছে থাকা একটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন কেড়ে নেয়।ওই সময় আমি আমার ভাতিজাকে উদ্ধার করতে গেলে। ভোদু তার হাতে থাকা লাদনা দিয়ে আমার মাথা লক্ষ্য করে, আমার বুকে, মাথায়, ও বাম হাতের গর্দানে আঘাত করে লিলা ফুলা চিলা ও ব্যাথা বেদনা দায়ক জখম করে।তখন আমি ডাক চিৎকার করিলে বিবাদীরা আমাকে ও আমার ভাতিজাকে এলো পাথরে কিল ঘুষি লাথি মারতে থাকে। এবং গুরুতর আহত করে,বিবাদীরা চলে যাওয়ার সময় আমাকে ও আমার ভাতিজাকে ও আমাদের পরিবারের লোকজনকে প্রাণ নাসের হুমকি প্রদান করে। আমার ভাতিজা অজ্ঞান হয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আমার ভাতিজাকে উদ্ধার করে নিয়ে এসে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে আমার ভাতিজাকে ও আমাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আমার ভাতিজার অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে চিকিৎসকেরা রাজশাহী মেডিকেল কলেজে রেফার্ড করে।

গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চৌধুরী জুবায়ের আহমেদ জানান বিষয় টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

এই বিভাগের আরও সংবাদ