টেন্ডুলকার ভেবেছিলেন, অভিষেক ম্যাচই তার শেষ

দুই যুগের ক্যারিয়ারে খেলেছেন দুইশ টেস্ট। টেস্ট ও ওয়ানডে ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে করেছেন সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি।

ইপেপার / প্রিন্ট ইপেপার / প্রিন্ট
২৬০

আরও কত সব রেকর্ডে সমৃদ্ধ শচিন টেন্ডুলকারের ক্যারিয়ার। অথচ অভিষেক টেস্টের সময় তিনি নিজেই ভেবেছিলেন, এই শেষ। আর কোনো ম্যাচ খেলার সুযোগ আসবে না!

টেন্ডুলকারের টেস্ট অভিষেক ১৯৮৯ সালের নভেম্বরে। করাচিতে ভারত-পকিস্তান সিরিজের প্রথম টেস্ট ছিল সেটি। পাকিস্তানের পেস আক্রমণ ওই ম্যাচে ছিল দুর্দান্ত। ওয়াসিম আকরাম ও ইমরান খানের সঙ্গে ছিলেন ওই ম্যাচে অভিষিক্ত ফাস্ট বোলার ওয়াকার ইউনিস। স্পিনে ছিলেন কিংবদন্তি আব্দুল কাদির।

- Advertisement -

মাত্র ১৬ বছর বয়সে অভিষেক, প্রতিপক্ষের অমন খুনে বোলিং আক্রমণ। তার ওপর, দলের অবস্থাও ছিল খারাপ। টেস্ট ক্রিকেটে টেন্ডুলকার প্রথমবার যখন উইকেটে গেলেন, ৪১ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে তখন ধুঁকছে ভারত। আগুন ঝরাচ্ছিলেন ওয়াসিম ও ওয়াকার।

তখনও কৈশোরে থাকা শচিন পারেননি কোনো রূপকথা উপহার দিতে। ওয়াসিম ও ওয়াকারের পেস ও বাউন্স বেশ ভুগিয়েছে তাকে। ওয়াকারের বলে বোল্ড হয়েছিলেন ২৪ বলে ১৫ রান করে।

এরপরই তার মনে হয়েছিল, এই বুঝি ক্যারিয়ার শেষ! শুক্রবার জীবনের ইনিংসে ৪৭ বছর পূর্ণ করা ভারতীয় কিংবদন্তি স্কাই স্পোর্টসের ‘নাসের মিটস শচিন’ অনুষ্ঠানে সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক নাসের হুসেইনের সঙ্গে আলাপচারিতায় স্মৃতিচারণ করলেন অভিষেক টেস্টের।

“আমি কিছু বুঝেই উঠতে পারছিলাম না, এটা স্বীকার করতেই হবে। প্রথম টেস্ট খেলেছিলাম যেন আমি স্কুল ম্যাচ খেলছি। ওয়াসিম ও ওয়াকার খুব জোরে বল করছিল, শর্ট বল করছিল। তাদের পক্ষে সম্ভব, ভয়ঙ্কর এমন সবকিছুই করছিল তারা। আগে কখনও এরকম অভিজ্ঞতা আমার হয়নি। প্রথম ইনিংস তাই সুখকর ছিল না।”

“মাঝে মধ্যেই আমি ওদের পেস ও বাউন্সে পরাস্ত হচ্ছিলাম। ১৫ রানে আউট হয়ে যখন ড্রেসিংরুমের দিকে হাঁটছিলাম, খুব বিব্রত লাগছিল। মনে হচ্ছিল, ‘এটা তুমি কী করলে, কেন তুমি এভাবে খেললে…।’ ড্রেসিংরুমে ঢুকে সোজা বাথরুমে চলে যাই, প্রায় কেঁদেই ফেলেছিলাম।”

টেন্ডুলকারের মনের ভেতর তখন চলছিল ঝড়। কত ভাবনা খেলা করছিল তার মাথায়, জানালেন সেসবও।

এই বিভাগের আরও সংবাদ