অনলাইনে পাকিস্তানের ৪৫ ক্রিকেটারের ক্লাস নেবেন ওয়াসিম-মিয়াদাঁদরা

করোনার কারণে গৃহবন্দী হয়ে আছেন ক্রিকেটাররা। খেলা নেই, কবে আবার শুরু হবে তারও ঠিক নেই। এ সময়ে দারুণ এক উদ্যোগ নিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড।

ইপেপার / প্রিন্ট ইপেপার / প্রিন্ট
২৯৩

নাসিম শাহর যেন উচ্ছ্বাস বাঁধ মানে না। মাস দুয়েক আগে রাওয়ালপিন্ডিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট ইতিহাসের সবর্কনিষ্ঠ হ্যাটট্রিকম্যান বনে যাওয়া পাকিস্তানি ফাস্ট বোলারের উচ্ছ্বাসের কারণ?

জাতীয় দলে বোলিং কোচ হিসেবে ১৭ বছর বয়সী নাসিম পান কিংবদন্তি পাকিস্তান ফাস্ট বোলার ওয়াকার ইউনিসকে। এর পাশাপাশি যদি ওয়াসিম আকরাম, শোয়েব আখতারের মতো কিংবদন্তিদের কাছেও ক্লাস করার সুযোগ মেলে? যদি জানার সুযোগ মেলে তাঁদের ক্যারিয়ারের খুঁটিনাটি। তাঁরা অনুশীলনে কী করতেন না করতেন, ম্যাচের আগে প্রস্তুতিতে কোন দিকটাতে নজর দিতেন, প্রতিপক্ষকে কীভাবে পড়তেন, তারকাখ্যাতি কীভাবে সামলাতেন…সবই যদি জানার সুযোগ মেলে?
‘এই গ্রেটরা কীভাবে প্রতিপক্ষকে পড়ে নিতেন, গতি আর দক্ষতা দিয়ে কীভাবে প্রতিপক্ষকে হারিয়ে দিতেন সেসব শোনার সুযোগ পাব’ – উচ্ছ্বসিত নাসিমের কথা। শুধু নাসিমই অবশ্য নন, পাকিস্তান দলের তরুণ ক্রিকেটারদের পাশাপাশি জাতীয় দলের বাইরের উঠতি অন্য ক্রিকেটার মিলিয়ে মোট ৪৫ ক্রিকেটারের জন্য অনলাইনে পাকিস্তানের কিংবদন্তিদের কাছ থেকে শেখার সুযোগ করে দিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। করোনাভাইরাসের কারণে আপাতত সব বন্ধ, ফিটনেস ঠিক রাখার জন্য কিছু ব্যায়ামের বাইরে তেমন কিছুই করার সুযোগ নেই ঘরবন্দী ক্রিকেটারদের বেশিরভাগেরই। সময়টাকে কাজে লাগাতেই এমন উদ্যোগ পিসিবির।
শুধু ওয়াসিম-শোয়েবই নন, অনলাইনে ‘ক্লাস’ নেবেন জাভেদ মিয়াঁদাদ, মোহাম্মদ ইউসুফ, মঈন খান, মুশতাক আহমেদ, রশিদ লতিফ ও ইউনিস খান। সবাই অবশ্য সব ব্যাপারে বলবেন না। ব্যাটিং, পেস ও স্পিন বোলিং আর উইকেটকিপিং – চার বিভাগে ভাগ করে কথা বলবেন সাবেকরা। মিয়াঁদাদ, ইউসুফ ও ইউনিস কথা বলবেন ২১ ব্যাটসম্যানের সঙ্গে, ১৩ ফাস্ট বোলারের জন্য ওয়াসিম-শোয়েব, ৬ স্পিনারের সঙ্গে জ্ঞান ভাগাভাগি করবেন মুশতাক, আর মঈন ও রশিদ ক্লাস নেবেন ৫ উইকেটকিপারের।
শুধু যে বর্তমান খেলোয়াড়েরাই খুশি, তা নয়। তরুণদের সঙ্গে নিজেদের এত বছরের ক্রিকেট খেলার, ক্রিকেট দেখার ও শেখার জ্ঞান ভাগাভাগি করতে উন্মুখ কিংবদন্তিরাও। মিয়াঁদাদ বলছিলেন, ‘এই ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলতে অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় আছি। আশা করি আমি ওদের নতুন একটা দৃষ্টিভঙ্গি এনে দিতে পারব যেটা ওদের ব্যক্তিগত ও দলীয় পারফরম্যান্স আরও ভালো করবে।’ রশিদ লতিফ ঠিক করে রেখেছেন, ‘নিজেই বলতে থাকার চেয়ে আমি যেটা করব, ওদের প্রশ্ন করতে দেব, ওদের সমস্যাগুলো নিয়ে কথা বলব।’
পাকিস্তানের প্রধান কোচ ও প্রধান নির্বাচকের যৌথ ভূমিকা পালন করা মিসবাহ-উল-হকের কথাটা শোনাল স্কুলের প্রধান শিক্ষকের মতো। সাবেকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বললেন, ‘এই কিংবদন্তিদের ঝুড়িতে অনুপ্রেরণাদায়ী অনেক গল্প আছে। আমি চাইব তরুণ ক্রিকেটাররা যেন যা শোনে তা-ই মনে ধারণ করে, এই বিশ্বমানের পারফরমারদের কাছ থেকে কিছু শেখে।’

- Advertisement -

এই বিভাগের আরও সংবাদ