শবে বরাত সম্পর্কে রাসূল (সাঃ) কি বলেছেন

ইপেপার / প্রিন্ট ইপেপার / প্রিন্ট
৫০২

নিজস্ব প্রতিবেদক মির্জা তুষার আহমেদ

শবে বরাত একটি ফার্সি শব্দ যার কারণে এই শব্দের ব্যবহার আরবিতে নেই। তবে হাদিসের ভাষায় এ রাতকে ‘লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান তথা ১৫ শাবানের রাত (১৪ তারিখ দিবাগত রাত) বলা হয়। এ রাতের ফজিলত সম্পর্কে কোরআন মাজিদে সরাসরি নির্দেশনা নাই।

- Advertisement -

বিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ ‘আলেমে দ্বীন, সৌদি আরবের সাবেক গ্র্যান্ড মুফতি, ইমাম ‘আব্দুল ‘আযীয বিন ‘আব্দুল্লাহ বিন বায (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪২০ হি./১৯৯৯ খ্রি:] বলেনঃ প্রচলিত বিদ’আত সমূহের মধ্যে একটি হলো শাবান মাসের মধ্যভাগে ‘শবে বরাত’ উদযাপন এবং ঐদিন ছিয়াম পালন করা,
যা কিছু সংখ্যক লোক ধর্মের মধ্যে নতুনত্ব চালু করেছে৷ অথচ শরী’আতে এর স্বপক্ষে নির্ভরযোগ্য কোন দলীল নেই।

বিভিন্ন সহীহ হাদীসে বর্নিত আছে, মুহাম্মাদ (সঃ) এ মাসে বেশি বেশি নফল রোযা পালন করতেন। শাবান মাসের রোযা ছিল তার কাছে সবচেয়ে প্রিয়। এমাসের প্রথম থেকে ১৫ তারিখ পর্যন্ত এবং কখনো কখনো প্রায় পুরো শাবান মাসই তিনি নফল সিয়াম পালন করতেন। এ বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এ মাসে রাব্বুল আলামীনের কাছে মানুষের কর্ম উঠানো হয়। আর আমি ভালবাসি যে, আমার রোযা রাখা অবস্থায় আমার আমল উঠানো হোক।”
 (নাসাঈ, আস-সুনান ৪/২০১; আলবানী, সহীহুত তারগীব ১/২৪৭।[সনদ হাসান][৬])

আবূ হুরাইরা বর্ণিত বুখারী ও মুসলিমের হাদীসের বক্তব্য হল আল্লাহ প্রতি রাতের শেষ অংশে দুনিয়ার আকাশে আসেন। আর প্রতি রাতের মধ্যে শাবান মাসের পনের তারিখের রাতও অন্তর্ভুক্ত। অতএব এ হাদীস মতে অন্যান্য রাতের মত শাবান মাসের পনের তারিখের রাতের শেষ তৃতীয়াংশে আল্লাহ পৃথিবীর আকাশে আসেন।

এই বিভাগের আরও সংবাদ