সৎ মায়ের চাপে শিশু আসিফের হাত-পা বেঁধে ফেলে গেলেন বাবা

ইপেপার / প্রিন্ট ইপেপার / প্রিন্ট
৩১৬

সাজ্জাদ হোসেন সাজু(বিশেষ প্রতিনিধি)

ছোটকালে গর্ভধারিণী মা মারা গেছে। এরপর বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করেন। তখন থেকেই সাত বছরের আসিফের দুঃখ-কষ্ট শুরু। পেটপুরে খাবারের পরিবর্তে নিয়মিত জুটতো মারধর আর নির্যাতন। এতেও থেমে থাকেনি সৎ মা। আসিফকে বাড়ি ছাড়া করতে বাধ্য করেন জন্মদাতা বাবাকে। দ্বিতীয় বউয়ের চাপে রাতের আঁধারে আসিফের হাত-পা, চোখ-মুখ বেঁধে ঢাকা থেকে ফরিদপুরের সালথায় ফেলে যায় বাবা।

- Advertisement -

জানা গেছে, উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের গোপিনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে অসুস্থ অবস্থায় শিশু আসিফকে পান রামকান্তপুর ইউনিয়নের তেলি সালথা গ্রামের লোকমান মাতুব্বরের ছেলে সুমন মাতুব্বর। তিনি আসিফের সব কথা শুনে বাড়িতে নিয়ে যান।
আসিফ জানায়‘তার বাবার নাম রেজাউল, মা আসমা বেগম। বাড়ি মিরপুর ১২নং বালু মাঠ মন্দিরের পাশে। নানার বাড়ি রংপুর। মা ছয় মাস আগে ক্যান্সারে মারা গেলে বাবা আবার বিয়ে করেন। নতুন মায়ের কথা মতোন বাবা আমাকে ফেলে গেছেন।’

সুমন মাতুব্বর বলেন, গোপিনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে শিশুটিকে অসুস্থ অবস্থায় দেখতে পাই। কাছে গিয়ে বিস্তারিত কথা শুনে তাকে বাড়ি নিয়ে আসি। স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তাকে সুস্থ করার চেষ্টা করি।
শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) সালথা থানা পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়। এরপর সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কাছে লিখিত আবেদনের মাধ্যমে আসিফকে হস্তান্তর করা হয়।

তিনি আরও বলেন, ওসি আসিফের পুরো দ্বায়িত্ব নিয়েছেন
সালথা থানার ওসি মো. আসিকুজ্জামান বলেন, উদ্ধারকারী সুমন মাতুব্বরের মাধ্যমে শিশুটিকে থানায় আনার পর আসিফের বিস্তারিত কথা শুনে আমি নিজেই তার দায়িত্ব নিয়েছি। আপাতত শিশুটি থানায় আছে। থানাতেই তার থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তার অভিভাবকদের খোঁজ-খবর নেওয়া হবে।

এই বিভাগের আরও সংবাদ