বিষাক্ত জাহাজ আমদানি নিয়ে সুজনের উদ্বেগ
ইন্দোনেশিয়া থেকে বিষাক্ত জাহাজ আমদানির ব্যাপারে উদ্বেগ জানিয়েছে সামাজিক সংগঠন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)।
শনিবার (২ মে) সংগঠনের সভাপতি এম. হাফিজউদ্দিন খান ও সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি দেশের এক শিপ ব্রেকিং প্রতিষ্ঠান অত্যন্ত বিষাক্ত একটি জাহাজ আমদানি করছে। জাহাজটি ইন্দোনেশিয়া থেকে বাংলাদেশে আসছে। জে-নাট নামের বিষাক্ত ওই জাহাজটিতে ১ হাজার ৫শ’ টন পারদ-দুষিত বর্জ্য, ৬০ টন প্ল্যাজ অয়েল, ১ হাজার টন ঝাল তেল ও ৫শ’ টন তৈলাক্ত জল রয়েছে। বিপজ্জনক এ জাহাজটি আমদানি হলে তা জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে উঠবে। এ জাহাজ যদি ভাঙ্গা হয়, তা শ্রমিকদের জনও হবে চরম ঝুঁকিপূর্ণ। মাঝে মাঝে বিষাক্ত গ্যাস নিঃসরণ ও বিস্ফোরণে শ্রমিকদের মৃত্যুও ঘটে থাকে।
‘জাহাজ আমদানির ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তরের এনওসি নেওয়ার বিধান থাকলেও এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য স্পষ্ট নয়। শিল্পমন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মিজানুর রহমান বলেছেন- আমি নিশ্চিত নই যে, এর আগে এই জাহাজের জন্য এনওসি নিয়েছিল কি না। মাঝে মাঝে তথ্য গোপন করে শিপ ব্রেকাররা বিষাক্ত জাহাজ আমদানির চেষ্টা করেন।’
বিবৃতিতে আরও বলা হপ্য, গত ১৫ এপ্রিল ‘ইন্দোনেশিয়ান এনভায়রনমেন্ট কেয়ার কমিটি’ নামক একটি এনজিও ইন্দোনেশিয়ান পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের কাছে বিষাক্ত বর্জ্যের অবৈধ রফতানির বিষয়ে একটি অনলাইন অভিযোগ দায়ের করেছিল এবং ১৭ এপ্রিল এ সংশ্লিষ্ট বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে জাহাজটিকে বন্দর ছেড়ে যাওয়ার ছাড়পত্র না দিতে অনুরোধ জানিয়ে ছিল। তা সত্ত্বেও ১৭ এপ্রিল জাহাজটিকে বন্দর ছেড়ে যাওয়ার ছাড়পত্র দেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। বিষাক্ত এ জাহাজ যেন কোনোক্রমেই বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে, সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান সুজন নেতারা।