প্রচার প্রচারনায় তুঙ্গে নওগাঁ- ৬ আসনের নৌকা ও ট্রাক প্রতীকে হতে পারে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই

ইপেপার / প্রিন্ট ইপেপার / প্রিন্ট
৪২

মোঃ সাইদুল ইসলাম হেলাল (নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি)
আত্রাই ও রাণীনগর দুই উপজেলা নিয়ে গঠিত নওগাঁ-৬ আসন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। প্রতীক পাবার পর থেকে কুয়াশা ও শীত উপেক্ষা করে কর্মী-সমর্থক নিয়ে দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পাল্লাদিয়ে ভোটের মাঠে উত্তাপ ছড়াচ্ছেন। ভোটের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে প্রার্থী সমর্থকদের পদচারনায় উৎসবমুখর হয়ে উঠছে পুরো এলাকা।
এদিকে নির্বাচন কমিশন হতে প্রতি কেন্দ্রে প্রার্থীর এজেন্টদের ফলাফল শীট দিয়ে দেওয়ার কথা বলায় রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক বিশেষ প্রার্থীর পক্ষে ফলাফল ঘোষণা দেওয়ার আসঙ্কা দুর হয়ে ভোটারদের মধ্যে ভোটদানের আগ্রহ বাড়ার পাশাপাশি স্বস্তি ফিরছে। প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং নির্বাচন কমিশন থেকে প্রার্থীরা সমান সুযোগ পাওয়ার ফলে ভোটারদের মাঝে দিন দিন ভোটের আমেজ বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রার্থী-সমর্থকরা উঠান বৈঠক, পথসভা, নির্বাচনী বিশেষ সভা, হাটে-বাজারে লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তারা অতীত কর্মকান্ডের ভুলক্রুটির ক্ষমা চেয়ে নেওয়ার পাশাপাশি দিচ্ছেন নানান প্রতিশ্রুতি এ আসনে ভোটের মাঠে রয়েছেন ৮ জন প্রার্থী। তাদের মধ্যে এলাকার সচেতন মহল মনে করছেন এবারের লড়াইটা হবে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আনোয়ার হোসেন হেলাল ও স্বতন্ত্র ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী ওমর ফারুক সুমনের মধ্যে।
এছাড়া মাঠে রয়েছেন জাতীয় পাটির লাঙ্গল প্রতীকে আবু বেলাল হোসেন জুয়েল, তৃণমুল বিএনপির সোনালী আঁশ প্রতীকে পিকে আব্দুর রব, স্বতন্ত্র কাঁচি প্রতীকে নওশের আলী, স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকে জাহিদুল ইসলাম , বাংলাদেশ কংগ্রেসের ডাব প্রতীকে আব্দুস সাত্তার এবং এনপিপির আম প্রতীকে খন্দকার ইত্তেখার আলম।
এ আসনে মোট ভোটার রয়েছে ৩ লাখ ২৭ হাজার নয়শত ৭৩ জন। যার মধ্যে আত্রাই উপজেলায় পুরুষ ৮৪ হাজার নয়শত ২৫ মহিলা ৮২ হাজার আটশত ৩৯ হিজরা ২ জন, রাণীনগর উপজেলায় পুরুষ ৮০ হাজার আটশত ৮ মহিলা ৭৯ হাজার তিনশত ৯৭ হিজরা ২ জন।
এদিকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আনোয়ার হোসেন হেলালের বাড়ী রাণীনগর ও স্বতন্ত্র ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী ওমর ফারুক সুমনের বাড়ী আত্রাই হওয়ায় উভয়েই নিজ নিজ উপজেলায় ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে থাকতে পারেন বলে সুধী মহল ধারনা করছেন।
এ বিষয়ে এলকার ভোটারদের সাথে কথা বললে তারা জানান, যিনি এলাকার উন্নয়ন, যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি, শান্তির স্থিতিশীলতা রক্ষা এবং গরীব-দুঃখীর পাশে দাঁড়াবেন তাকেই তারা বিজয়ী করবেন।
এবারের নির্বাচনে আইনশৃ্খংলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সর্বদা পুলিশ প্রশাসন মাঠে কাজ করছে বলে নবাগত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জহুরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান। তিনি বলেন, কোন প্রার্থী বা তার সমর্থক ভোটারকে ভোটদানে বিরত রাখতে ভয়ভীতি প্রদর্শন, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করলে তাকে সাথে সাথে আইনের আওতায় আনা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার সঞ্চিতা বিশ্বাস বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সুষ্ঠু, সুন্দর ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষে সকল প্রকার প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও সংবাদ