কালীগঞ্জে বাঘিনী স্ত্রীর লাঠির আঘাতে স্বামী আহত

জি এম মামুন বিশেষ প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কালীগঞ্জে বাঘিনী স্ত্রী কর্তৃক স্বামীকে বেধড় মারধরের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে কালিগঞ্জ উপজেলার পিরিজপুর গ্রামে রহিম গাজীর বাড়িতে।

ভুক্তভোগী স্বামী রহিম গাজী সাংবাদিকদের জানান। দীর্ঘ ২২ বছর ধরে আমার ছোট স্ত্রী নার্গিস বেগমকে নিয়ে আমি ঘর সংসার করে আসতেছি। ইতিমধ্যে আমার দুই কন্যা সন্তান জন্ম নিয়েছে। আমি পেশায় একজন মিস্ত্রি আমি দৈনিক যে টাকা উপার্জন করি। আমার ছোট স্ত্রী নার্গিস বেগম বিভিন্ন সমিতি এবং ব্যাংকে আমার পরিশ্রমের টাকা তার নিজের নামে জমা রাখে।
এবং আমার বড় স্ত্রীর দুইটি সন্তান আছে তাদেরকে কোন খরচ খরচা দিতে দেয় না। যদি আমি একটু তাদেরকে খরচ করছ দিতে যাই। তাহলে আমাকে বেধর মারপিট করে। ইতিমধ্যে আমার বড় স্ত্রীর এবং বড় স্ত্রীর সন্তান দুইজনকে বিষাক্ত পয়জন খাওয়ানোর পরে আমার বড় স্ত্রী পাগল হয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ায়। এবং সন্তান দুইটাকে আমি চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করে তুলি।

ইতিমধ্যে আমার ছোট স্ত্রী নার্গিস বেগম আমার পরিশ্রমের ২ লক্ষ টাকা ব্যাংক থেকে উঠিয়ে তার ভাইদের ব্যবসার জন্য দেয়ার কথা বললে আমি বাধা দেয়। এবং সাথে সাথে আমাকে বাঁশের লাঠি দিয়ে মাথায় সজরে বাড়ি মারে। এবং আমি রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে ঢলে পড়ি। এক পর্যায়ে এলাকাবাসী আমাকে আমার বাঘিনি স্ত্রী নার্গিস বেগমের কাছ থেকে উদ্ধার করে।

আমার স্ত্রী এর আগে ও চাইরবার আমাকে ভেধড় মারপিট করেছে, আমার মাথায় সেলাই পর্যন্ত আছে। এবং আমার স্ত্রী নার্গিস বেগম এলাকায় বলতে থাকে রহিমের সকল টাকা পয়সা আমার নামে আমি আমার দুটি মেয়ে নিয়ে বাবার বাড়িতে যাচ্ছি। রহিমের ব্যবস্থা নিচ্ছি।
এবং বলতে থাকে মেয়েদের পক্ষে আইন রহিম আমার কিছু করতে পারবে না। ইতিমধ্যে তার বাপের বাড়ি থেকে আমাকে বিভিন্ন মামলার হামলার হুমকি দিচ্ছে।

এই বিষয়ে আব্দুর রহিমের স্ত্রী নার্গিস বেগমের মোবাইলে বারবার ফোন দিলে ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।