রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে-দুর্নীতির দায়ে কালিগঞ্জ হাসপাতালের সাবেক কর্মকর্তা ডাঃ তৈয়বুর রহমানের ২ বছরের বেতন ভাতা স্থগিত

ইপেপার / প্রিন্ট ইপেপার / প্রিন্ট
১০৫

স্টাফ রিপোর্টার: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শেখ তৈয়বুর রহমানের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম দুর্নীতি স্বেচ্ছাচারিতা বিভাগীয় মামলায় ২ বছরের জন্য বেতন ভাতা স্থগিত করা হয়েছে। গত ৩১ ডিসেম্বর মহামান্য রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ ও শৃঙ্খলা বিভাগের মোঃ জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে গত ১ জানুয়ারি ২০২৪ থেকে কার্যকরী করার আদেশ প্রদান করেছেন। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে যেহেতু ডাঃ শেখ তৈয়বুর রহমান( ১২১৯৬৭) ও এস ডি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ইতিপূর্বে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) হিসাবে কর্মরত থাকা অবস্থায় তার বিরুদ্ধে নানাবিধ অনিয়ম, দুর্নীতি ও প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনার অভিযোগ পাওয়া যায়। যে কারণে উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডাঃ শেখ তৈয়বুর রহমানের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের ১/৬ /২০২১ তারিখে ২০৫ নং স্মারকে সরকারি শৃঙ্খলা ও আপিল বিধিমালা ২০১৮ এর বিধি ৩( খ) অনুযায়ী বিভাগীয় মামলা রুজু হয় এর প্রেক্ষিতে তার ব্যক্তিগত শুনানির জন্য বিভাগীয় তদন্তে জনসাধারণের স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত, হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসার রোগীদের সাথে অসদাচরণ, হাসপাতালের ঔষধ বিক্রি, ঔষধ কোম্পানির রিপ্রেজেনটিভদের দিয়ে চিকিৎসা অপারেশন করানো,আর্থিক সুবিধা নিয়ে কর্মচারীদের হয়রানি, সরকারি গাড়ির ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার, প্রশাসনিক কাজের বিনষ্ট করার সত্যতা পেয়ে তাকে দন্ডের সুপারিশ করে বিভাগীয় মামলা দায়ের করে। এ কারণে আদেশে বলা হয়েছে ডাঃ শেখ তৈয়বুর রহমানকে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ এর বিধি ৪ (২)( খ) অনুসারে আগামী ২ বছরের জন্য বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি কর্মপুঞ্জীভূত হারে স্থগিত রাখার জন্য লঘুদণ্ড আরোপ করা হলো। তিনি কোন বকেয়া আর্থিক সুবিধা প্রাপ্য হবেন না। বিভাগীয় মামলাটি নিষ্পত্তি করা হলো এই মর্ম স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
ডা: শেখ তৈয়বুর রহমান কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে( ভারপ্রাপ্ত) স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন কালীন সময়ে তিনি হাসপাতালটিকে নিজের পৈতৃক সম্পত্তি মনে করে নানা বিধ অনিয়ম দুর্নীতি স্বেচ্ছাচারিতা চালিয়ে হাসপাতালটিকে জিম্মি করে রেখেছিল। হাসপাতালের ঔষধ কেনার টাকা বাগান ও ঔষধি বাগানের নামে এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন, নানা সরঞ্জাম কেনার নামে সরকারি কোটি টাকার বরাদ্দ ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে তিনি আত্মসাৎ করে গেছেন। এ ছাড়াও হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা সাধারণ রোগী এবং স্বাস্থ্য কর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে তাদেরকে ঠুনকো অজুহাতে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত সহ বেতন ভাতা বন্ধ রাখতেন। হাসপাতালের সরকারি গাড়ি তিনি পারিবারিক ও নিজের কাজে সার্বক্ষণিক ব্যবহার করতেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে এই বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

এই বিভাগের আরও সংবাদ