ফরিদপুর জেলা পরিষদের সদস্য এখলাস আলী ফকিরকে সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত করার প্রতিবাদে মানববন্ধন

ইপেপার / প্রিন্ট ইপেপার / প্রিন্ট
৭৭

ফরিদপুর জেলা পরিষদের সদস্য এখলাস আলী ফকিরকে সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত করার প্রতিবাদে মানববন্ধন

ফরিদপুর প্রতিনিধি-

- Advertisement -

ফরিদপুর জেলা পরিষদের সদস্য এখলাস আলী ফকিরকে সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত করার প্রতিবাদে মানববন্ধন হয়েছে ফরিদপুরে।
রোববার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে ফরিদপুর জেলা পরিষদের সামনে এ মানববন্ধন করে বাংলাদেশ জেলা পরিষদ মেম্বার্স অ্যাসোসিয়েশন। এতে ফরিদপুরসহ সারাদেশ থেকে আগত জেলা পরিষদের সদস্যগণ অংশ নেন।

এ সময় তারা সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচার করা না হলে আগামীতে আরো কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী দেন।

মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ জেলা পরিষদ মেম্বার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো: বাবুল মিয়ার সভাপতিত্বে এ সময় অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম তৌফিক ইসলাম ফরিদপুর জেলা পরিষদের সদস্য আনজুমান আরা বেগম, ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলা পরিষদের সংরক্ষিত আসনের সদস্য এমবি কানিজ, এখলাস ফকিরের শিশু সন্তান ফরিদপুর জিলা স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ফারহান এহসান।

এ সময় যশোর জেলা পরিষদের সদস্য মো. জবেদ আলী, পটুয়াখালী জেলা পরিষদের সদস্য মো: জাকারিয়া কাওসার, গোপালগঞ্জের আরমান হাফিজ, ফরিদপুর জেলা পরিষদের সদস্য আকরামুল করিম, শেখ আখতার, নূর মো: তোতা, মো: ফারুক খান, আহসান হাবিব, কোহিনূর বেগম, জেসমিন নাহার, খাদিজা আক্তার স্বপ্না, এখলাস ফকিরের মেয়ে সাইমা সুমাইয়া মরিয়মসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধনে জেলা পরিষদ মেম্বার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার বিএম তৌফিক ইসলাম বলেন, সারাদেশের ৬১টি জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে আমরা আজ এখানে এসেছি ফরিদপুর জেলা পরিষদের সদস্য এখলাস আলী ফকিরের উপর হামলার প্রতিবাদ জানাতে। আমরা এর দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই এবং তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।

ফরিদপুর জেলা পরিষদের সদস্য আনজুমান আরা বেগম বলেন, আমাদের জনপ্রিয়তা রয়েছে বলেই জনগণ আমাদের ভোট দেয়। কিন্তু এভাবে যেখানে সেখানে আমাদের উপর হামলা করা হবে আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

ব্রাক্ষণবাড়িয়ার সংরক্ষিত আসনের সদস্য এমবি কানিজ বলেন, চাঁদা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় যদি এভাবে একজন জনপ্রতিনিধির উপর নৃশংস হামলা হয়, তাহলে আমাদের নিরাপত্তা কোথায়

এখলাস ফকিরের শিশু সন্তান ফারহান এহসান বলেন, সন্ত্রাসীরা এর আগেও আমার বাবার নিকট থেকে চাঁদা নিয়েছিল। কিন্তু এবার অনেক টাকা চাওয়ায় বাবা দিতে পারেনি। এজন্য তারা বাবাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে। আমি এর দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।

এর আগে তারা ফরিদপুর জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে যেয়ে তাদের নিকট এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে জোর দাবি জানান।

উল্লেখ্য, গত ২৫ এপ্রিল দুপুরে সদরপুরের শৌলডুবিতে সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত হন ফরিদপুর জেলা পরিষদের সদস্য এখলাস ফকির (৪৫)। তাকে ফরিদপুরের বিএসএমএমসি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে এখলাস ফকির সদরপুর থানায় ২১ জনকে আসামি করে এবং আরো কয়েকজন অজ্ঞাতনামার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলায় পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে।

এই বিভাগের আরও সংবাদ