কালিগঞ্জ ধলবাড়িয়ায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষেের আশংকা- ১৪৪ জারি
মেহেদী হাসান, কালিগঞ্জ প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা কালিগঞ্জ উপজেলায় ধলবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের পাল্টা পাল্টি বর্ধিত সভা করার ঘোষণা দিলে আজ (২৭ জানুয়ারি) বেলা ২ টা থেকে পুলিশ প্রসাশন ১৪৪ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ঘটনায় জানা যায়, গত ১৫ জানুয়ারি সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় ৫ এর ‘ঘ’ নং আলোচ্য সুচির সিদ্ধান্ত মোতাবেক কালিগঞ্জ উপজেলার ধলবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সজল মুখার্জিকে দলীয় শৃংখলা ভঙ্গের কারণে আওয়ামী লীগের দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। তারই ধারাবাহিকতায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশনায় এবং দপ্তর সম্পাদকের স্বাক্ষরিত সজল মুখার্জিকে সাময়িক বহিষ্কার করার জন্য উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু সজল মুখার্জি জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভার সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে ২৭ জানুয়ারি আওয়ামী অফিসে সভা করার সিদ্ধান্ত নেন। অপর দিকে সজল মুখার্জিকে বহিষ্কার করায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম আব্দুল গফফার এবং সাধারণ সম্পাদক নাজমুছ শাদাত রাজা ঐ একই দিনে এবং একই স্থানে আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা করার ঘোষণা দেন। পাল্টা পাল্টি সভা করার ঘোষণা দিলে কালিগঞ্জ থানা পুলিশ প্রসাশন উভয় দলকে সভা না করার জন্য ১৪৪ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।কিন্তু সজল মুখার্জি ২৭ জানুয়ারি বেলা ২ ঘটিকায় ১৪৪ ভঙ্গ করে আওয়ামী অফিসে তার দলীয় নেতাকর্মী নিয়ে অফিস নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করেন। এ খবর পেয়ে অপর দিকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক তাদের দলীয় নেতাকর্মী নিয়ে অফিসের দিকে আসতে থাকেন। কালিগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মো: মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের শক্ত প্রসাশনিক কার্যক্রমের মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। পরবর্তীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ও কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী, সভাপতি নরিম আলী, সাধারণ সম্পাদক এনামুল হোসেন,সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. হাবিব ফেরদাউস শিমুল ও সিনিয়র সদস্য অ্যাড.মোজাহার হোসেন কান্টু এসে নিজ নিজ নেতা কর্মীদেরকে পরিস্থিতি শান্ত রাখার জন্য আহবান করেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ধলবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিস পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে।