ক্রাইম রিপোর্টারঃ- মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় পরিচালিত ভোলা শিশু একাডেমীর অধীনে ICBC প্রজেক্টটি বাস্তবায়নের কাজ করছেন এনজিও পদক্ষেপ বাংলাদেশ। উক্ত প্রজেক্টটি সরকারি অর্থায়নে পরিচালিত। ইতোমধ্যে নীতিমালা অনুযায়ী ভোলা জেলার ভোলা সদর,লালমোহন এবং মনপুরা উপজেলা আইসিবিসি প্রজেক্টটি কাজ শুরু করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। মূলত ছয় বছরের পূর্বে বেড়ে ওঠা শিশুদের শিশু বিকাশ ও সাঁতার প্রশিক্ষণের জন্য এই প্রকল্পটি হাতে নিয়েছে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়। উক্ত প্রজেক্ট মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন করার জন্য সরকারের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পদক্ষেপ বাংলাদেশ। বিষয়টি বিবেচনা করে ভোলা জেলার তিনটি উপজেলায় জনবল নিয়োগ দেওয়ার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত পদক্ষেপ বাংলাদেশের প্রকল্প সমন্বয় অমিত হাসান। উক্ত জনবল নিয়োগকে কেন্দ্র করে নানা দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত অভিযোগ করেন কয়েকজন ভুক্তভোগী, অভিযোগে তুলে ধরা হয় প্রকল্প বাস্তবায়নে নীতিমালা অনুযায়ী স্থানীয় নাগরিক নেওয়ার কথা থাকলেও প্রকল্প পরিচালক অমিত হাসান সরকারের দেওয়া নীতিমালা তোয়াক্কা না করে অন্য জেলা থেকে তার নিকট আত্মীয় লোকজনদের নিয়োগ প্রদান করেন এবং অভিযোগ তুলে ধরা হয় অন্য জেলার লোকজনদের এই জেলার লোকজন সাজিয়ে ভুয়া নাগরিকত্ব সনদ দেখিয়ে এসব জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়। অভিযোগ পত্রে আরও তুলে ধরা হয় এ নীতিমালায় নিয়োগ বোর্ড গঠন হয় নাই এবং পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় নাই। সম্পূর্ণ ইচ্ছে মত নিজের মতো করেই এ ধরনের অনিয়ম চালিয়ে গেছেন পদক্ষেপ বাংলাদেশের প্রজেক্ট সমন্বয়ক অমিত হাসান। উক্ত অভিযোগ নিয়ে অভিযুক্ত অমিত হাসানের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান এসব নিয়োগে তার কোন হাত নেই, তিনি শুধুমাত্র সিভি গ্রহণ করেন এবং পদক্ষেপের হেড অফিসের প্রেরণ করেন হেড অফিস ইচ্ছে মতো যাকে খুশি তাকেই নিয়োগ দেন। নিয়োগ বাণিজ্য হচ্ছে কিনা এই প্রশ্নের জবাবে অভিযুক্ত অমিত হাসান মুঠো ফোনের লাইনটি কেটে দেয়। উক্ত প্রকল্পে জনবল নিয়োগ নীতিমালা লঙ্ঘন ও নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগের বিষয়ে জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তার নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি প্রকল্প সমন্বয়ক অমিত সাহেবকে নীতিমালা অনুযায়ী নিয়োগ বোর্ড গঠন করে জনবল নিয়োগের জন্য পরামর্শ দিয়েছি এবং নিয়োগ বাণিজ্যের বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা, এসব বিষয়গুলি উনি একাই করে যাচ্ছেন। লিখিত অভিযোগ এ নিয়ে ভোলা জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, এ বিষয়ে আমি অমিত সাহেবকে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছি, আমি বিষয়টি তদন্ত করে দেখব এবং খুব দ্রুতই ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
এসব নানা অনিয়ম নিয়ে চলছে আমাদের অনুসন্ধান বিস্তারিত দেখুন দ্বিতীয় পর্বে ।