রকিবুল হাসান তোতা চুয়াডাঙ্গা:
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর গ্রামের দুই সন্তানের জননী মাছুরা খাতুনের ভেঙ্গে যাওয়া সংসার হাউলী ইউনিয়নের ২নং প্যানেল চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলামের প্রচেষ্টায় আবার সংসারে ফিরে যেতে সক্ষম হলো। গতকাল বুধবার সকাল ১১টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদে সালিশ বৈঠকে উভায় পরিবারের অভিভাবকে বুঝিয়ে দুই সন্তানের পিতা মাতাকে এক করে দেওয়া হলো।
জানাযায়, দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর গ্রামের কাসেদ আলীর মেয়ে মাছুরা খাতুনের সাথে একই উপজেলার পীরপুর নতুন পাড়া
গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে ফিরোজ উদ্দিনের সাথে বিগত ১৫ বছর পৃর্বে ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক বিবাহ হয়। পরে তাদের কোল জুড়ে দুইটি পুত্র সন্তান আসে। দুই পুত্র সন্তান নিয়ে সুখে শান্তিতে সংসার করে আসছিল। এরই মাঝে মাছুরা ও ফিরোজের মধ্যে কলহ্য শুরু হয়ে যায়। এক প্রর্যায়ে বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পথে।পরে দিশা হারিয়ে মাছুরা বাদি হয়ে দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়ন পরিষদে ফিরোজের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।
গতকাল বুধবার হাউলী ইউনিয়ন পরিষদে সালিশ বৈঠকে প্যানেল চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলামের প্রচেষ্টায় গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের উপস্থিতে মাছুরা ও ফিরোজের ভেঙ্গে যাওয়া সংসার জোড়া লাগান। মাছুরা পরিবার ও ফিরোজের পরিবার উপস্থিতে সকলকে মিষ্টি মুখ করে হাসি মুখে সংসারে ফিরে গেল।
মাছুরা খাতুন বলেন, আমার দুই ছেলের কথা চিন্তা করে ফিরোজের সাথে সংসার করতে রাজি হলাম।আমার সংসার ফিরে পেয়ে আমি অনেক খুশি হয়েছি।
হাউলী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বলেন, জনপ্রতিনিধি হওয়ার পর থেকে এলাকার উন্নয়নের পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে ফুটফুটে বাচ্চা দুটির কথা চিন্তা করে নিজ উদ্যেগে তাদের উভায় পক্ষের অবিভাবকদের বুঝিয়ে ভাংঙ্গা সংসার পূনর্স্থপন করে দিই। এটা আমার জনপ্রতিনিধি হিসাবে পরম প্রাপ্তি।