আব্দুল আলিমঃ নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
পুরো দেশে শীতের প্রকোপ বেড়েছে। এতে দুর্বিসহ হয়ে পড়েছে নদী ও চর এলাকায় বসবাসকারী উপকূলের জনজীবন।
<span;>হাড় কাপানো শীতে বাইরে বের হতে না পেরে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন অনেক দিনমজুর। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন শিশু ও বয়স্করা।
রবিবার (১৪ জানুয়ারি) সাতক্ষীরার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩থেকে ১৭ এর ডিগ্রী সেলসিয়াস এর মধ্যে। এটি এ মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। তবে এই ধরণের তাপমাত্রায় জীবন দুর্বিসহ হয়ে পড়েছে অতিদরিদ্র শ্রেনীর মানুষের।
গত কয়েকদিন ধরে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। ঘন কুয়াশার কারণে দুপুর পর্যন্ত সূর্যের দেখা মিলছে না। এতে কনকনে শীতে কাপছেন এখানকার মানুষ। শীতের দাপটে কাজে যেতে পারছেন না অনেকে। বিশেষ করে নারী, শিশু ও বয়স্কদের ভোগান্তির যেন শেষ নেই। হাড় কাপানো শীতে অনেকটাই মানবেতর দিন কাটছে তাদের।
গাবুরা ইউনিয়নের বাঁধের পাশের বাসিন্দা জামিরন তার বৃদ্ধা মাকে নিয়ে থাকেন, কুড়ে ঘরে, জানান প্রচুর শীত পড়ছে, একটা মাত্র হালকা ও ছিন্ন কম্বলে দুই মাপে থাকি। অনেক কষ্টে দিন কাটাচ্ছি। নদীর পাড়ে আরও বেশি শীত লাগে। ছেলে-মেয়েদের নিয়ে কষ্টে আছি বলেন অনেকে।
এদিকে সরকারের বরাদ্দ দেওয়া শীতবস্ত্র দরিদ্র মানুষের তুলনায় খুবই অপ্রতুল বলে মনে করছেন উপকূলবাসী। তারা মনে বলছেন, নদীর তীরবর্তী ও দুর্গম জনপদের মানুষ অধিকাংশ দরিদ্র ও ছিন্নমুল। এ কারণে সবার ভাগ্যে গরম কাপড় মেলে না।