মোঃ ফরিদ উদ্দিন বিশেষ প্রতিনিধি।
সমরে আমরা শান্তিতে আমরা সর্বত্র আমরা দেশের তরে এই প্রতিপাদ্যকে বুকে ধারণ করে নিজের জীবন যৌবন উৎসর্গ করেছেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও দেশের মানুষের কল্যাণে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যগণ অকুতোভয় যোদ্ধারা অবসর আসার পর বিভিন্ন ভাবে হয়রানি শিকার হচ্ছে পেনশনের ভাতা গ্রহণ কালে।
সশস্ত্র বাহিনী সদস্যদের মৃত্যুর পর বিধবা স্ত্রীগণ ৩-৪ বছরেও পারিবারিক ভাতা পাচ্ছেনা।পারিবারিক ভাতা প্রাপ্তি নথিপত্রের কালচক্র দীর্ঘায়িত হচ্ছে, এছাড়াও সন্তানদের রেশন ভাতার টাকা বয়স সীমা অতিক্রম হওয়ার পর সেটি অটোমেটিক বন্ধ হচ্ছে না। দেশে ও বিদেশে শহরে গ্রামে গঞ্জে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সেনা সদস্যরা বন্ধ করতে পারছে না ভাতার টাকা অনেকেই বিভিন্ন অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করলেও সেখানেও হয়রানি শিকার হতে হচ্ছে পক্ষান্তরে বেতন ভাতা বেশি গ্রহণের কারণে কিছুকাল পর উক্ত সদস্যের পেনশন ভাতা বন্ধ করে দিচ্ছে যথাযথ কর্তৃপক্ষ (এফপিও)।
শুরু হচ্ছে হয়রানির চূড়ান্ত কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট রেকর্ড ,জেলা সশস্ত্র বাহিনী বোর্ড, এফসি আর্মি পে-২ এফপিও অফিস বিভিন্নভাবে হয়রানি শিকার হতে হচ্ছে। এফপিও কর্মকর্তাদের খামখেয়ালি ও ভুলের অতিরিক্ত ভাতা দেওয়ার কারণে অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্রবাহিনী সদস্যরা এককালীন অনেক টাকা সরকারের ব্যাংকে জমা করে পুনরায় অবসরপ্রাপ্ত ভাতা চালু করতে হচ্ছে।এই দায় কার- এফপিও নাকি সেনা সদস্যদের। সেনা সদস্যদের সকল প্রকার ডকুমেন্ট সংশ্লিষ্ট রেকর্ড ও এফপিও জমা থাকে, সকল প্রকার ভাতা প্রদান করে থাকেন সংশ্লিষ্ট এফপিও তাই যদি কোন অবসরপ্রাপ্ত সদস্যর বেতন ভাতা বেশি প্রদান করে থাকেন সেই দায় দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট এফপিও কর্মকর্তাদের।
এছাড়া দীর্ঘদিন অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনী সদস্যদের বিভিন্ন সংগঠন ও সদস্যরা বেতনভাতা, রেশন ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে অবসরপ্রাপ্ত সদস্যগণ বিভিন্ন দপ্তরে অসহায়ের মত ঘুরে বেড়াচ্ছে। বর্তমান দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে মানবতার জীবনযাপন করছেন অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যরা। অনেক সদস্যগণ ইতিমধ্যেই সুবিধা ভোগের আগেই আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে দুনিয়া ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। তাই মানবিক দিক বিবেচনা করে অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনী কল্যাণ সোসাইটির পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট বেতন ভাতা ,রেশন ভাতা বৃদ্ধি সহ ভাতা প্রার্থীর ডিজিটাল পদ্ধতির নামে হয়রানি বন্ধ করনের দাবি জানাচ্ছি।