শনিবার (২ মে) চালু রয়েছে ২৩২টি শিল্প কারখানা। এর মধ্যে, নারায়ণগঞ্জে বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত ২৩৫ কারখানার মধ্যে চালু হয়েছে ২৫টি, বিকেএমইএর ৭৯২ কারখানার মধ্যে ১৬৫টি, বেপজার অধীনে থাকা ইপিজেডে ৪৮ কারখানার মধ্যে ২৫টি ও বিটিএমএর ১৭২টির মধ্যে ১৭টি চালু ছিল।
এরমধ্যে এসব প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা ইতোমধ্যেই কাজে যোগদান করেছেন। করোনার এই সময়ে সামাজিক দূরত্ব মেনেই কারখানাগুলো সচল করা হয়েছে বলে মালিকপক্ষরা জানিয়েছে। তবে কারখানার বাইরে তাদের সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছেনা।
আরও পড়ুন… করোনা: নারায়ণগঞ্জে হাজার ছাড়াল আক্রান্তের সংখ্যা
অবশ্য প্রতিটি কারখানায় স্বাস্থ্যবিধি মানার সর্বোচ্চ চেষ্টা ছিল বলে মালিকপক্ষের দাবি। কারখানাগুলোর মালিকরাও স্বল্প পরিসরে কাজ শুরু করেছেন। এর পাশাপাশি ছিল শিল্প পুলিশের দিক নির্দেশনা ও মাইকিং। তারা কারখানা মালিক ও শ্রমিকদের সচেতন করে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে কারখানা খোলা রাখতে বলেন। তবে কারখানার বাইরে তাদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব মানার প্রবণতা একেবারেই কম বলেও স্বীকার করে শিল্প পুলিশ।
বিকেএমইএর সহ-সভাপতি ও বিসিক শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের স্বাস্থ্যবিধি কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে প্রথমেই ফ্যাক্টরিতে প্রবেশের সময় সাবান বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধোয়া, ব্লিচিং মিশ্রিত পাত্রে রাখা পানিতে পা পরিষ্কার করা এবং জুতা পরিষ্কার করা, মাস্ক ব্যবহার করা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করা। এসব দিক নির্দেশনা আমাদের যেসব প্রতিষ্ঠান খোলা হবে তারা পালন করবে।
নারায়ণগঞ্জ শিল্প পুলিশ-৪ এর পরিদর্শক (ইন্টেলিজেন্স) শেখ বশির আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, আমরা মাইকিং করছি, মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি এবং শ্রমিকদের বুঝাচ্ছি যেন নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব তারা নিশ্চিত করে। প্রতিটি কারখানায় হাত ধোয়া, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার, গ্লাভস মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। কোথাও শ্রমিক অসন্তোষ নেই।