বগুড়া প্রতিনিধি: গতকাল শুক্রবার বগুড়ার সোনাতলা প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক লতিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রেসক্লাব কার্যালয়ে সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। গত ৪ অক্টোবর ইমরান হোসাইন লিখন কর্তৃক সাধারণ সভা আহবান করেও তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে প্রেসক্লাবের মিটিং-এ অনুপস্থিত থাকায় সাধারণ সম্পাদক লতিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে ৪ অক্টোবর সকাল ১০টায় সোনাতলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত সকল সদস্যের সম্মতিক্রমে পূর্বের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন সভার সভাপতি লতিফুল ইসলাম। অতঃপর প্রেসক্লাবের অধিকাংশ সদস্যের উপস্থিতিতে নতুন কমিটি গঠন করা হয়। সভায় সর্বসম্মতি ক্রমে সভাপতি পদে মোঃ শহিদুল ইসলাম শাহীন (দৈনিক বগুড়া), সহ-সভাপতি আবু হেলাল (দৈনিক কালের খবর), সাধারণ সম্পাদক লতিফুল ইসলাম (দৈনিক চাঁদনীবাজার), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহম্মেদ (আমার সুন্দর দেশ), কোষাধ্যক্ষ জাহিনুর ইসলাম (আমাদের দেশ), ধর্মীয় বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল করিম জামাল (দৈনিক সংগ্রাম), ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রিপন (দৈনিক মহাস্থান),দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক মিনহাজুল বারী মিম (চ্যানেল এস) এবং নির্বাহী সদস্য হলেন মোশাররফ হোসেন মজনু (দৈনিক সাতমাথা ও ইত্তেফাক),বদিউদ-জামান মুকুল (দৈনিক করতোয়া) ও তাহেরুল ইসলাম উজ্জ্বল (অনলাইন পত্রিকা বগুড়া বার্তা)।
দুই বছর মেয়াদে এ কমিটি গঠন করা হলো। উল্লেখ্য,প্রেসক্লাবের সভাপতি ইমরান হোসাইন লিখন ও সাবেক সভাপতি নিপুন আনোয়ার কাজল যোগসাজসে গত ২৪ এপ্রিল/২০২৪ যৌথ স্বাক্ষরে সোনালী ব্যাংকে প্রেসক্লাবের একাউন্ট থেকে অন্য সদস্যদেরকে না জানিয়ে তারা ৮০ হাজার টাকা উত্তোলন করেন। বিষয়টি ৫ মাস পেরিয়ে গেলে গত ১১ সেপ্টেম্বর প্রেসক্লাবের জরুরী সভায় টাকা উত্তোলন ও তাদের কাছে আরো বেশ কয়েক হাজার টাকা গচ্ছিত থাকার বিষয়টি জানাজানি হলে এ নিয়ে সকল সদস্যের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। পরে ইমরান হোসাইন লিখনকে সাধারণ সভা ডাকার জন্য অনুরোধ করলে ইমরান হোসাইন লিখন নানা তালবাহানায় পর পর চার সপ্তাহ (চারবার) প্রেসক্লাবে মিটিং আহবান করলেও কিন্তু একটি মিটিংয়েও উপস্থিত হননি। তিনি সর্বশেষ ৫ম বারের মতো গতকাল শুক্রবার ৪ অক্টোবর/২৪ সকাল ১০টায় মিটিং আহবান করেন। তিনিসহ তার সহযোগী কয়েকজন সদস্য উক্ত মিটিং-এ উপস্থিত হননি। একদিকে প্রেসক্লাবের টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে নিজ কাজে ব্যবহার করেন,অন্যদিকে অনিয়ম করেন এবং দুর্বৃত্ত কর্তৃক প্রেসক্লাব ভাংচুরের বিষয়ে আইনগত কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ও প্রেসক্লাব সংস্কার না করায় এতে প্রেসক্লাবের সদস্যরা চরম ক্ষুব্ধ হন। এছাড়া সাংবাদিক ফয়সাল আহম্মেদকে ইতিপূর্বে লোক দ্বারা মারধর করার হুমকি প্রদান করেন।