মোঃ সাইদুল ইসলাম হেলাল
নওগাঁ জেলা প্রতিনিধী।
বরেন্দ্রঅঞ্চলে হাটগুলোতে ধানের সরবরাহ বাড়তে শুরু করেছে। এতে সপ্তাহের ব্যবধানে মণপ্রতি ধানের দাম কমেছে ১৫০-২০০ টাকা। ফলে ন্যায্য মূল্য পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকরা। তারা জানান, মিলার ও ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের দখলে ধানের বাজার। ব্যবসায়ীদের কারসাজিতেই ধানের এমন দরপতন।
তথ্যমতে জেলার মহাদেবপুর হাটে শনিবার বড় আকারে ধান কেনাবেচা হয়,মাতাজী হাটে ট্রাকে ট্রাকে ধান কেনাবেচা হয় এবং রাণীনগর আবাদপুকুর হাটে ও ত্রীমহনি হাটে ধানের প্রচুর আমদানি হয়। ওইসব হাটে বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রান্তিক কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ধান এনে বিক্রি করেন। গত সপ্তাহের চেয়ে হাটে ধানের জোগান বেড়েছে কয়েকগুণ। ১৫দিন আগে ওইসব হাটে প্রতি মণ মোটা জাতের ধান ১ হাজার ২৮০ থেকে ১ হাজার ৩০০, কাটারিভোগ ১ হাজার ৩০০.জিরা ও মিনিকেট ১ হাজার ২২০ টাকা দামে বিক্রি হয়েছে। অথচ সপ্তাহের ব্যবধানে হাটে ধানের সরবরাহ বাড়ায় মণপ্রতি দাম কমেছে ২২০,-৩০০ টাকা পর্যন্ত।
কৃষকরা বলছেন, ফসল উৎপাদনে সব ধরনের কৃষি উপকরণের দাম বেড়েছে। ফলে ধানের উৎপাদন ব্যয় বাড়লে ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না তারা।কৃষক পানজু সরদার,মাসুদ রানা,আবু জানান জানান, এবার ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় সবাই খুশি। তবে হাটে ব্যবসায়ী ও মিলারদের সিন্ডিকেটের কারণে আশানুরুপ দাম পাওয়া যাচ্ছে না।এদিকে মেসার্স মোকসেদ আলি ট্রেডার্সের কমিশন এজেন্ট মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এবার বাজারে ধানের সরবরাহ অনেক বেশি। তাই হিসাব করে ধান কিনতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে চাল কল মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এ অঞ্চলের বেশির ভাগ চাষি ধান কাটার পর স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে দিচ্ছেন। ব্যবসায়ীরা এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে কম দামে বেশি ধান কিনে রাখেন। যার ফলে কৃষকরা ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।