মোঃ সাইদুল ইসলাম হেলাল স্টাফ রিপোর্টার নওগাঁ: সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শহিদুজ্জামান সরকারসহ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের ৭৪ জন নেতা-কর্মীর নামে বিস্ফোরক আইনে আদালতে মামলা হয়েছে।নওগাঁ জেলা প্রশাসনের (ডিসি) কার্যালয়ে হামলার ঘটনার ৯ বছর পর এই মামলা দায়ের করেন আবুল কালাম আজাদ নামের এক বিএনপি নেতা। ১ লা সেপ্টেম্বর ২৪ তারিখ রোববার দুপুরে নওগাঁর ১ নম্বর আমলি আদালতে এ মামলা করা হয়। মামলাটি আমলে নিয়ে এজহার নথিভুক্ত করতে আদালতের বিচারক অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো.ইমতিয়াজুল ইসলাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন-জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বিমান কুমার রায়, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাব্বির রহমান, সাধারণ সম্পাদক আমানুজ্জামান শিউল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক নূর মোহাম্মদ লাল, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম, নওগাঁ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মজনু, রাজন, শরিফুল ইসলাম, সাগর ও খুরশিদ আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ডিএম আতা ও ইলিয়াস তুহিন রেজা সহ ৭৪ জন। মামলার এজহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর রাতে নওগাঁ পৌরসভার নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার সময় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে হামলা হয়। সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ও নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাধন চন্দ্র মজুমদার, সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শহিদুজ্জামান সরদার, নওগাঁ সদর আসনের সাবেক এমপি নিজাম উদ্দিন জলিল, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান ছেকার আহমেদ শিষাণের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে হামলা চালানো হয় বলে নথীতে উল্লেখ্য করেন।জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে
হামলায় চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর, নির্বাচনের ফলাফল সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র ছিনতাই, জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে চত্বরে ককটেল ও হাতবোমা বিস্ফোরণ ঘটনায় এই সব সন্ত্রাসীরা। মামলার বাদী বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘হামলার ঘটনার পর দিন নওগাঁ সদর থানায় মামলা করতে গেলে থানা পুলিশ মামলা গ্রহণে অপরাগতা প্রকাশ করে। মামলা করলে হত্যা ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার হুমকি দেন আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা। এ জন্য এতদিন মামলা করতে পারিনি বলে বাদি জানান। বাদি সেদিনের ন্যাক্কারজনক ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছে।’ বাদীর আইনজীবী মিনহাজুল ইসলাম বলেন, ২০১৫ সালে নওগাঁ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার সময় হামলার ঘটনায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলাটি করা হয়েছে। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে এজহার হিসেবে নথিভুক্ত করার জন্য সদর থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।