সর্বশেষ গত ২৩ এপ্রিল সাধারণ ছুটি ২৬ এপ্রিল থেকে ৫ মে পর্যন্ত বাড়িয়ে আদেশ জারি করেছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী মো. ফরহাদ হোসেন শনিবার (২ মে) বাংলানিউজকে বলেন, ছুটি হয়তো আবারো বৃদ্ধির প্রয়োজন হতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা পেলে এ বিষয়ে কাল-পরশুর মধ্যে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
সাধারণ ছুটিকালীন জরুরি পরিষেবা ছাড়াও গণপরিবহন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। তবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে ইতোমধ্যেই পোশাক কারখানা খুলে দেওয়া হয়েছে।
ছুটিতে জরুরি কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত অফিসসমূহ খোলা রাখা হয়েছে। সীমিত পরিসরে মন্ত্রণালয় এবং বিভাগের অধীন দপ্তরগুলো ছাড়াও মাঠ পর্যায়ের অফিসগুলো খোলা রাখা হয়েছে।
তবে দেশের বিদ্যমান করোনা পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে কারখানা, গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিসহ অন্যান্য শিল্প ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সীমিত আকারে চালু রাখা বিষয়ে আলোচনার জন্য আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা ডেকেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
রোববার (৩ মে) সচিবালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে। আর পরদিন ৪ মে বিশেষজ্ঞগণের সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি প্রথম সভায় বসবে। বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের কমিউনিটি ট্রান্সমিশন এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভূত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার লক্ষ্যে এই কমিটি গঠন করা হয়।
এসব সভায় সাধারণ ছুটির বিষয়টি উঠে আসবে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়ার পর গত ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল এবং পরে ৫-৯ এপ্রিল, পরে ১৪ এপ্রিল, ২৫ এপ্রিল এবং সর্বশেষ ৫ মে পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়েছিল। আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে ১৮ মার্চ হতে।