জিএম মামুন নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার উত্তর কালিগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পরিমল চন্দ্র ঘোষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন উৎসব পালন চারু কলা সহ পরীক্ষায় বেশি নম্বর, দোকান ভাড়ার টাকা আত্মসাৎ সহ নানা বিধ ঘুষ, দুর্নীতি , স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ পাওয়া গেছে। দীর্ঘ ১৮ বছর একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার সুবাদে স্কুলটিকে নিজের পৈতৃক সম্পত্তি মনে করে অনিয়ম, দুর্নীতি স্বেচ্ছাচারিতা নিয়ে একাধিকবার প্রধান শিক্ষক পরিমল চন্দ্র ঘোষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্রিকায় খবর প্রকাশ হলে ও জেলা, উপজেলা প্রশাসন এর পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় তার খুটির জোর নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকার অভিভাবক, এলাকাবাসী এবং ম্যানেজিং কমিটির সদস্য বৃন্দ গত ২৮ ডিসেম্বর সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগের সূত্র থেকে এবং অএ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও ইউ,পি সদস্য বরুণ কুমার ঘোষ, অভিভাবক সদস্য সাইফুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান , জহির রাবেয়া পারভিন, বিদেশ মন্ডল, নন্দ গোপাল ঘোষ, সন্তোষ ঘোষ, গৌর, দৃষ্টি বিশ্বাস, চম্পা সরকার, সাজেদুর রহমান সহ একাধিক অভিভাবক জানান কালিগঞ্জ উপজেলার৷ তারালি ইউনিয়নের বাতুয়া ডাঙ্গা গ্রামের মৃত অজিত ঘোষের পুত্র পরিমল চন্দ্র ঘোষ বাড়ির পাশে ২ নং উত্তর কালিগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক হিসেবে দীর্ঘ ১৮ বছর চাকরি করে আসছে। জেলা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের মোটা অংকের টাকায় ম্যানেজ করে বাড়ির পাশে একই বিদ্যালয়েপ্রথমে সহকারী শিক্ষক পরে প্রধান শিক্ষক হিসাবে বছরের পর বছর বহাল তবিয়তে চাকরি করে আসলেও দেখার কেউ নাইআর এই চাকরি করার সুবাদে স্কুলটিকে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মনে করে অনিয়ম দুর্নীতি স্বেচ্ছাচারিতা প্রভাব খাটিয়ে স্কুলের স্লিপির টাকা ভুয়া ভাউচারে আত্মসাৎ স্কুল সংস্কারসহ স্কুলের জমিতে নির্মিত ছয়টি দোকান ঘরের প্রতি মাসের ভাড়া বাবদ ১২ /১৫ হাজার টাকা ভাড়াটিয়াদের নিকট থেকে তুলে কমিটিকে না জানিয়ে নিজে আত্মসাৎ করে আসছে বলে অভিভাবক এলাকাবাসী জানান। এছাড়াও প্রতিবছর চারুকলা পরীক্ষার নামে ছাত্র-ছাত্রীদের নিকট হতে নগদ টাকা সহ আপেল, আঙ্গুর, বেদনা , লেবু না দিলে পরীক্ষার খাতায় পাস নাম্বার দেয়া হয় না। এছাড়াও স্কুলে তৃতীয় শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত বাধ্যতামূলক কোচিং এর নামে প্রাইভেট পড়িয়ে প্রতি মাসে ৩/৫ শ” টাকা আদায় করে মাসে প্রায় লক্ষ টাকার কোচিং বাণিজ্যে হাতিয়ে নিয়ে আসছে। শিশু শ্রেণীতে ভর্তির সময় প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীদের নিকট হতে ৫০/১০০ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে
। এছাড়াও কোন ছাত্র-ছাত্রীর বাবা, মা বা অভিভাবক বিদ্যালয়ে কোন সুবিধা অসুবিধা কাজের জন্য গেলে তাদের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে রুঢ় আচরণ করে বিদ্যালয় থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিনের ক্ষোভে এলাকাবাসী এবং অভিভাবক বৃন্দ তদন্ত পূর্বক তাকে অপসারণ ও বিচারের দাবি জানিয়েছে। এলাকাবাসী অভিযোগের বিষয়ে ঘটনার সত্যতা জানার জন্য প্রধান শিক্ষক পরিমল চন্দ্র ঘোষ এর মুঠো ফোনে ফোন দিলে ঘটনা অস্বীকার করে বলেন একটি মহল তার পিছে লেগেছে তবে এ বিষয়ে কথা বলতে তিনি অপারগতা প্রকাশ করে আগামীকাল চায়ের দাওয়াতে কথা বলবেন বলে সাংবাদিকদের জানান এবং বিষয়টি অত্র স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সবকিছু জানেন বলে জানান। ঘটনার আরো সত্যতা জানার জন্য অত্র স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি বা এডহক কমিটির সদস্য ও পত্র স্কুলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ওমর ফারুক মুকুলের নিকট জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি সম্বন্ধে কিছু জানেন না বলে সাংবাদিকদের জানান এবং স্কুলের ফান্ডে টাকা পয়সা বা দোকান ভাড়া দেওয়া আছে সে বিষয়ে তাকে কিছু জানানো হয়নি। তবে অভিযোগের বিষয়ে তিনি শুনেছেন এবং যার উপর তদন্ত দিবে তিনি তদন্ত করে রিপোর্ট দিবেন বলে জানান।