মোঃ তুহিন হোসেন সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি:
সারাদেশে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার জনজীবনে অস্বস্তি নেমে এসেছে। বিগত বছরগুলোর তুলনায় রেকর্ড তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। সাতক্ষীরাতে বর্তমানে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে ৪০-৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে গেছে। তার ভিতর দিয়ে শহরে ইলেক্ট্রনিক দোকানগুলো চাহিদা থাকায় কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে দ্বিগুণ দামে বিক্রি করছে বৈদ্যুতিক ফ্যান। শহরের নিউ মার্কেট মোড়, পাকাপোল দোকান ঘুরে দেখা গেছে এসব দৃশ্য। মানুষ গরমে স্বস্তির খোঁজে বাড়তি টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে বৈদ্যুতিক ফ্যান। সরেজমিনে দেখা গেছে, ৯ ইঞ্চি ছোট সাইজের ফ্যান ১০-১৫ দিন আগে দাম ছিল ৫৫০-৬০০টাকা। এখন দাম বৃদ্ধি করে নেওয়া হচ্ছে ৮৫০ টাকা। আরেক মডেল ডিজাইন ৯ইঞ্চি ফ্যান দাম ছিল ৮০০টাকা, এখন তার বাড়ানো হয়েছে ১১৫০ টাকা। টেবিল ফ্যান মিডিয়াম ও সিলিং ফ্যানগুলোগুলো প্রতি পিসে ২০০-৩০০টাকা বৃদ্ধি করেছে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। এর ফলে অসাধু সিন্ডিকেট দ্বিগুণ মুনাফা আয় করছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকের মুটো ফোনে একাধিক বার কল করা হলে সংযোগ বন্ধ পাওয়া গেছে।
জেলা সাংবাদিক এসোসিয়েশন সাতক্ষীরা’র সহ-সভাপতি মো: মিজানুর রহমান বলেন, সিন্ডিকেট গ্রাস করে ফেলেছে আমাদের বাণিজ্য ব্যবস্থা। কোনভাবে এদের দৌরাত্ম্য কমানো যাচ্ছে না। আইনের আওতায় এনেও ছাড় পেয়ে যাচ্ছে। সাতক্ষীরা ভোক্তা অধিকার ও প্রশাসনের তৎপরতা বাড়ালে এদেরকে থামানো সম্ভব হবে। সাতক্ষীরা প্রতিটি ইলেকট্রনিক দোকানে ভ্রাম্যমাণ কোর্ট পরিচালনা করতে হবে। তাদের ক্রয় রশিদ যাচাই করতে হবে। এদের আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। আমি কর্তৃপক্ষের তৎপরতা আশা করছি।
ভুক্তভোগী মো: শহিদুল ইসলাম জানান, রমজানের সময় পাকাপোল মোড়ে ইলেক্ট্রনিক দোকান থেকে যে ফ্যান ক্রয় করেছি ৮৫০টাকা দিয়ে আজ সেই ফ্যান কিনেছি ১১৫০টাকায়। শুধুমাত্র গরমে সিন্ডিকেট করে দোকানমালিকরা দাম বৃদ্ধি করেছে। আমি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। তিনি আরোও বলেন, গত ২০দিন আগে সনি/মাষ্টার ছোট ফ্যান ক্রয় করেছি ৫৫০/৬০০ টাকা দিয়ে। এখন সেই ফ্যান ক্রয় করতে গেছি ৮৫০টাকা চায়। এত অল্প সময়ে দাম বৃদ্ধি শুধুমাত্র আমাদের দেশে সিন্ডিকেট বাজাররা করে। এদের আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানাই। যেন নিম্ন আয়ের মানুষ আর ভোগান্তিতে না পড়ে।
দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা দর্পণ এর সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি এম এ কাশেম বলেন, সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এদেরকে থামানো উচিত। নি¤œ আয়ের মানুষের আজ দেয়ালে পিট ঠেকে গেছে দব্রমূল্যর উর্দ্ধগতিতে। দিন দিন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম দ্বিগুণ করেছে সিন্ডিকেটরা। দেখার কেউ নেই। সবাই চোখ বন্ধ করে রেখেছে। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় সিন্ডিকেটদের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এদেরকে থামাতে না পারলে নিম্ন আয়ের মানুষ আগামীতে চরম ভোগান্তিতে পড়বে।