জিএম মামুন নিজস্ব প্রতিনিধি
সাতক্ষীরায় বিভিন্ন অবৈধ বেসরকারি ক্লিনিকে অভিযান চালিয়ে ভুয়া ডাক্তার সহ দুইজনকে কারাদন্ড ও একইসাথে অর্থদণ্ড প্রদান করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। এছাড়া একটি ক্লিনিককে সিলগালা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আল আমিন হোসেনের নেতৃত্বে র্যাবের একটি দল সাতক্ষীরা শহরের সদর হাসপাতাল মোড় এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এসময় শেফা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভুয়া ডাক্তার সেজে প্রতারনার অভিযোগে বিপ্লব কুমার দাসকে ৬ মাস ও আস্থা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স না থাকায় তার মালিক বিশ্বজিত পালকে ১০ দিনের কারাদন্ড প্রদান করা হয়।
এ ব্যাপারে জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আল আমিন হোসেন জানান, সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী মঙ্গলবার সকাল ১১ টা থেকে শহরের বিভিন্ন ক্লিনিকে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ অভিযান চলমান থাকবে বলে জানান তিনি। এসময় শেফা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে একজন ভুয়া ডাক্তারকে কারাদন্ড ও তার মালিক আবুবকর সিদ্দীককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া আস্থা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স না থাকায় তার মালিক বিশ্বজিত পালকে ১০ দিনের কারাদন্ড সহ ৫ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করা ছাড়াও ক্লিনিকটি সিলগালা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য শেফা ডায়াগানস্টিক সেন্টার এর মালিক আবু বক্কর সিদ্দিক দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন অনিয়ম অপরাধ করে আসছে বলে একাধিক সূত্রে জানাযায়। এবিষয়ে একাধিক ভুক্তভোগী এ প্রতিবেদককে বলেন আবু বক্কর সিদ্দিক এর বাড়ি কুষ্টিয়া জেলায় অথচ সে সাতক্ষীরা মানুষের চিকিৎসার নামে প্রতারণা সহ নানান অপরাধ করে পার পেয়ে যায় শুধু তাই নয় সাতক্ষীরা কথিত ক্লিনিক মালিক সমিতির নেতা পরিচয়ে সব সময় জাহির করে সকল ভুয়া ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক অবৈধ কাজের স্বীকৃতি দেয় এই সিদ্দিক। তার প্রমাণ স্বরুপ প্রশাসন হাতে নাতে ধরেছে। একটি সূত্রের দাবী এধরনের অভিযান অব্যহত থাকলে ভূয়া ডাক্তার এবং নাম সর্বশ্ব ক্লিনিক এর নিকট থেকে অপচিকিৎসা রোধ পাবে সাধারণ মানুষ।
অভিযানে জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আলআমিন হোসেনের নেতৃত্বে র্যাব-৬ সাতক্ষীরা ক্যাম্পের অধিনায়ক নাজমুল হক সহ র্যাব সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।