সন্ত্রাসী দুর্নীতিবাজদের রোষানালে সাংবাদিকরা।
মোঃ ফরিদ উদ্দিন
বিশেষ প্রতিনিধি।
সারা দেশের ন্যায়সাতক্ষীরাতে মামলা, হামলার শিকার হচ্ছেন কর্মরত প্রিন্ট বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিকরা ।বিভিন্ন দুর্নীতি, অসঙ্গতি, ঘুষ বাণিজ্য ,সরকারি অর্থ আত্মসাৎ ,প্রতিবেদন তৈরি করতে যেয়ে রোষানালে পড়তে হচ্ছে কর্মরত সাংবাদিকদের বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি অসৎ ঘুষখোর কর্মকর্তা, দুর্নীতিগ্রস্ত কিছু জনপ্রতিনিধি অসৎ ব্যবসায়ীদের কবলে পড়তে হচ্ছে।
সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কয়েকটি ঘটনা সুশীল সমাজ বুদ্ধিজীবী সাংবাদিক নেতৃবৃন্দদের গভীর ভাবে ভাবিয়ে তুলেছে।
১। সাংবাদিক জনাব ইয়ারব হোসেন সমাজের আলোর প্রতিবেদক সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের দুর্নীতির প্রতিবেদন তৈরি করায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা আবুল খায়ের কর্তৃক লাঞ্ছিত হন।
২। সাংবাদিক সরদার আমজাদ হোসেন মিঠু সাধারণ সম্পাদক শ্যামনগর রিপোর্টার্স ক্লাব সংবাদ শ্যামনগরের প্রতিবেদক আদি যমুনার নদীর উপরে গড়ে ওঠা অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে ও ইটভাটার মাটি নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করার সময় মোঃ সিদ্দিকুল ইসলাম ভাটা বকুলের কাছে লাঞ্ছিত হন।
৩। জনাব হাফিজ সাত নদী পত্রিকার সাংবাদিক কালিগঞ্জ উপজেলার আলোচিত চেয়ারম্যান সাফিয়ার দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করার সময় লাঞ্ছিত হন। পরবর্তীতে বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত করে তারই জের ধরে সাংবাদিক হাফিজ কে পরিকল্পিতভাবে ওই ইউনিয়নের এক ইউপি সদস্য কাদের কে দিয়ে নারি কেলেঙ্কারির অপবাদ দিয়ে জেল হাজতে পাঠানো হলো।।
৪। জনাব মারুফ হোসেন মিলন সভাপতি শ্যামনগর উপজেলা অনলাইন নিউজ ক্লাব,
বর্ষা এনজিওর কর্তৃক গ্রাহকদের কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের সংবাদ প্রকাশ করায় বর্ষা এনজিওর কর্মকর্তা কর্তৃক প্রাণনাশের হুমকি পরে মিথ্যা মামলা শিকার হন।
৫। জনাব হুদা মালী দৈনিক সুপ্রভাত সাতক্ষীরা পত্রিকার সাংবাদিক গাবুরার জেলিয়াখালি ইটের রাস্তার দুর্নীতির প্রতিবেদন তৈরি করতে গিয়ে মহিলা ইউপি সদস্য সাবিনা ইয়াসমিন রানী ও তার স্বামী আনোয়ার হোসেন কর্তৃক লাঞ্চিত ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করাহয়।
৬ ।এছাড়াও সংবাদ প্রকাশের জেরে সাতক্ষীরার ৫ জন সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়।
এছাড়াও অসংখ্য সাংবাদিক হামলা মামলার শিকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
বিষয়গুলো নিয়ে সাংবাদিক নেতারা মানববন্ধন বিভিন্ন প্রতিবেদন সহ প্রতিবাদ করলেও দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা ধরা ছোঁয়ার বাইরেই থাকে যাচ্ছে পুনরায় তারা মামলা হামলা পেশি শক্তি ব্যবহার করছে।