মোঃ ফরিদ উদ্দিন বিশেষ প্রতিনিধি।
মানুষের বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা মধ্য দিয়ে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন শেষ না হতেই নতুন বছরের শুরুতেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থিত শ্যামনগর উপজেলা এর আয়তন ১৯৩১.২৪ বর্গ কিলোমিটার।
এই নির্বাচনকে সামনে রেখে নেতাকর্মীরা বিভক্ত হয়ে পড়ছে।
চলছে উপজেলা নির্বাচনের আলোচনা- নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দল গুলোর মধ্যে এবং নেতাদের মধ্যে নতুন হিসাব নিকাশ শুরু হয়েছে আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী ইতিমধ্যেই প্রচার প্রচারণায় নেমে পড়েছেন।
সংসদ নির্বাচনের উপেক্ষিত নেতারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ কে কোন পদে লড়বেন তা নিয়েই চায়ের দোকানগুলিতে আলোচনার ঝড় উঠতে শুরু করেছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুকে) নিজ নিজ নেতার পক্ষে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ব্যানারে দোয়া ও সমর্থন চেয়ে পোস্ট করছেন।
শ্যামনগর উপজেলা থেকে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন -শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, শ্যামনগর উপজেলা সাবেক যুবলীগের বারবার নির্বাচিত সভাপতি বর্তমান জেলা পরিষদের সদস্য – গাজী গোলাম মোস্তফা( বাংলা)
শ্যামনগর উপজেলা যুগ্ন সাধারন সম্পাদক জেলা যুবলীগের আহবায়ক স,ম, আব্দুস সাত্তার , শ্যামনগর উপজেলা প্রচার সম্পাদক ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রভাষক সাইদুজ্জামান সাঈদ।কাশিমাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজীআনিসুজ্জামান আনিস সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আজম লেলিন কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা বাবুলুর রহমান বাবলু সহ অনেকের নাম শোনা যাচ্ছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হওয়ার পর জাতীয় নির্বাচন বর্জন করা বিএনপি ও জামায়াতের একাধিক নেতা উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে দলীয় কর্মীদের সাথে যোগাযোগ করছে। এছাড়াও চেয়ারম্যান পদে ইসলামী আন্দোলন এর নেতারা অংশগ্রহণ করবে বলে শোনা যাচ্ছে।
জামায়াত ইসলামের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল বারী ও বিএনপি নেতা মহসিন উল মূলক মৃত্যুর পর আওয়ামী লীগের নেতারা সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে।
তবে জামায়াতের পক্ষ থেকে নির্বাচনের মাঠে কাউকে দেখা গেলে নির্বাচনের হিসেব পাল্টে যেতে পারে।