আব্দুল আলিমঃ নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ভুরুলিয়া ইউনিয়নের ৩ নং খানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে একই বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরীকে আটক করেছে শ্যামনগর থানা পুলিশ।অসুস্থ শিক্ষার্থীর চিকিৎসার সকল খরচ বহন করবেন বলে জানিয়েছেন শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ।থানা সূত্রে জানা যায়, পিতা হীন হতদরিদ্র পরিবারের ঐ শিক্ষার্থীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী সুজন দাস।বিষয়টি কাউকে বললে মেরে ফেলা হবে এমন হুমকি দেওয়ায় কাউকে কিছু জানায়নি ঐ শিক্ষার্থী। সম্প্রতি মেয়েটি খুবই অসুস্থ হয়ে পড়লে মেয়েটির মা জানতে পারলেও আর্থিক অনটন এবং সুজন দাসের ভয়ে কাউকে কিছু বলেনি।কিন্তু মেয়ের অসুস্থতার কথা চেপে না রাখতে পেরে আশ্রয় নেন শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ এর নিকট।এসময় তিনি বিস্তারিত তথ্য নিয়ে শনিবার(১৩ এপ্রিল) সকাল ১১টায় সুজন দাসকে খানপুর এলাকা থেকে আটক করেন। একই সাথে মামলার বিষয়ে সকল ধরনের তদারকি এবং হতদরিদ্র পরিবারের ঐ শিক্ষার্থীর চিকিৎসার দায়ভার নেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ। এবিষয়ে শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, মেয়েটি খুবই দরিদ্র পরিবারের সন্তান,একই সাথে পিতৃহারা। এছাড়া সে বর্তমানে খুবই অসুস্থ।বর্তমানে ধর্ষককে আটকের পাশাপাশি মামলা দায়ের হয়েছে।একই সাথে মেয়েটির চিকিৎসার সকল খরচ আমি নিজেই বহন করব বলে তার পরিবারকে জানিয়েছি।