আব্দুল আলিমঃ নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
শ্যামনগর একটি নদী বেষ্টনী উপজেলা। এছাড়া উপজেলাটি বাংলাদেশের দক্ষিণে অবস্থিত প্রত্যন্ত উপকলীয় অঞ্চল হিসেবে পরিচিত। এ উপজেলার সব কয়টি ইউনিয়নে কমবেশি লোনা পানির চিংড়ীসহ বিভিন্ন প্রজাতির মৎস্য চাষ করে থাকে চাষিরা। আর এই মৎস্য চাষের পাশাপাশি তরমুজসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষে আগ্রহী চাষিরা।
বর্তমান সময়ে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, উপজেলার উপকলীয় অঞ্চল কৈখালী, রমজাননগর ও ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের ধুমঘাট গ্রামে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয়ে শতশত ফসলি জমিতে তরমুজ চাষ করছেন চাষিরা। বর্তমান সময়ে চাষকৃত তরমুজ ক্ষেতে গিয়ে দেখা যায়, রোপনকৃত তরমুজের চারা পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করে যাচ্ছেন চাষিরা। প্রতিটি চারাগাছে কেউ পানি দেওয়া, কেউ বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক ছিটানো আবার কেউ কেউ চারা গাছের নিচে বন বিছানো কাজে নিয়োজিত আছেন। এ বিষয়ে কৈখালীর বৈশখালী গ্রামের ইমাম গাজীর পুত্র তরমুজ চাষী আব্দুর রহিম বলেন, বিগত বছরের তুলনায় এবছর তরমুজ চাষে আমাদের খরচের হারটা একটু বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে। কারণ গত বছরের তুলনায় এবছর তরমুজের বীজ ও সার কীটনাশকের দাম অনেক বেশি।
গত বছর প্রতি ৩৩ শতক (১ বিঘা) জমিতে তরবুজ চাষ করতে আমাদের ২৫হাজার টাকা খরচ হয়েছিলো। কিন্তু চলতি বছরে বিঘা প্রতি ৩৫-৪০ হাজারের মতো খরচ হতে পারে। এবিষয়ে শ্যামনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাজমুল হুদা বলেন, ধান চাষের পাশাপাশি গত বছরের তুলনায় এ বছর উপজেলায় বিভিন্ন ধরনের সবজি ও তরমুজের চাষ অনেক বেশি। উপজেলায় গতবছর আনুমানিক ১২০একর জমিতে তরমুজ চাষ করা হলেও চলতি বছরে তার দিগুণ অর্থাৎ প্রায় ৯০০ একর জমিতে তরমুজ চাষ করা হয়েছে। খরচ বৃদ্ধির বিষয়ে তিনি বলেন বীজ, সার ও শ্রমজীবীদের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় চাষীদের জন্য এবার খরচের হার একটু বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু সামনের রমজানের ভিতরে যদি তরমুজ বিক্রির উপযুক্ত সময় হয় তাহলে কৃষকগণ লাভবান হবে বলে আমি আশাবাদী। এদিকে বর্তমান সময়ে তরমুজ চাষীদের মধ্যে এখন সব চেয়ে বড় ভয়ের হয়ে দাঁড়িয়েছে রোপণকৃত চারাগাছে সংক্রমণ রোগে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার।