শ্যামনগরে জানালা ভেঙে হাত পা বেঁধে ডাকাতি

আব্দুল আলিমঃ নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

সাতক্ষীরা’র শ্যামনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর ফুলবাড়ি গ্রামের মৃত জবেদ আলী গাজীর মানসিক ভারসাম্যহীন ছোট মেয়ে খাদিজা (৩৫) এর ঘরের জানালা ভেঙে হাত পা মুখ বেঁধে দলবদ্ধ একদল দুর্বৃত্ত কতৃক ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এবং ডাকাতরা মানসিক ভারসাম্যহীন খাদিজাকে শারিরীক ভাবে হেনস্তার করেছে বলেও অভিযোগ।

ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, ১৭ জুলাই সোমবার রাত ২ টার দিকে ২-৩ জনের একটি একদল দুর্বৃত্ত কাঠের জানালা ভেঙে মানসিক ভারসাম্যহীন খাদিজা পারভীন এর ঘরে প্রবেশ করেন। ঘরে প্রবেশ করে মানসিক ভারসাম্যহীন খাদিজাকে হেনস্তা করে এক পর্যায়ে ওড়না দিয়ে হাত পা ও মুখ বেঁধে রাখেন। এসময় ডাকাত দল ভুক্তভোগীর কান থেকে  একজোড়া স্বর্ণের কানের দুল খুলে নিয়ে যান। এছাড়াও সারা রুমে তল্লাশি চালিয়ে খাদিজার জমানো কিছু টাকা নিয়ে তার মুখ হাত পা বেঁধে রেখে ডাকাত দলের সদস্যরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
ভুক্তভোগীর মা সখিনা জানান, ভোর ৬ টার সময় পাশের রুম থেকে বাহিরে বেরিয়ে দেখেন মেয়ের ঘরের জানালা ভেঙে পড়ে আছে। রুমের সামনে যেতেই হাত পা মুখ বাধা অবস্থায় মেয়েকে পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার দিয়ে ওঠেন। পরবর্তীতে ভুক্তভোগীর হাত পায়ে বাঁধন খুলে দেওয়া হয়।
ভুক্তভোগীর ভাবি জানান, ফাঁকা বাড়িতে ভারসাম্যহীন ননদ, দেবর ও শ্বাশুরি থাকতেন। সুযোগ বুঝে তারা ডাকাতি কান্ড ঘটান।

ভুক্তভোগী খাদিজা বলেন, আমাকে মারধর করে জোর করে হাত পা মুখ বেঁধে কানের দুল খুলে নিয়ে গেছে ও আমার কিছু জমানো টাকা নিয়ে চলে গেছে। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে দ্রুততম সময়ে ডাকাত দলের মূল হোতা সহ সদস্যদের গ্রেফতারের দাবী জানান স্থানীয়রা। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে থানা পুলিশকে অবগত করা হয়নি।