মোঃ রুহুল আমিন, ভূরুলিয়া প্রতিনিধি : জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রেশ এখনো কাটেনি। এরই মধ্যে তোড়জোর শুরু হয়েছে আসন্ন শ্যামনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের।
তফসিল ঘোষণা না হলেও আগাম মাঠে গণসংযোগ, সভা সমাবেশ করছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। কেউবা প্রার্থিতা ঘোষণা দিয়েই নেমেছেন নির্বাচনী মাঠে। কেউ আবার অংক কষছেন অন্যভাবে।
আঞ্চলিকতার সমর্থন পেতে ইউনিয়ন থেকে একক প্রার্থী হতে দফায় দফায় করছেন সভা সমাবেশ। নিজের সমর্থন বাড়াতে যাচ্ছেন ভোটারের দ্বারে দ্বারে। জানান দিচ্ছেন নিজের পরিচিতি আর অবস্থান। প্রার্থীদের সরব উপস্থিতি বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানসহ সভা-সমাবেশে। কেউ আবার পোস্টার আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেই সীমাবদ্ধ। মুখে মুখে শোনা যাচ্ছে একাধিক চেয়ারম্যান প্রার্থীর নাম। এবার দলীয় প্রতীক থাকবে না- এমন সিদ্ধান্তে বাড়ছে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের সংখ্যা, তবে দীর্ঘদিন নির্বাচনের বাইরে থাকা বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর দু’জন প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে এতেই নির্বাচনের হাওয়ায় বইছে নতুন তৎপরতা। সম্প্রতি উপজেলার সম্ভাব্য প্রার্থী ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজনের সাথে কথা বলে ওঠে আসে এমন তথ্য।
এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগেরই আলোচনায় রয়েছেন ৩ জন। তারা হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক বর্তমান ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রভাষক সাঈদ উজ-জামান সাঈদ ,উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স,ম আব্দুস সাত্তার ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য, গাজী গোলাম মোস্তফা বাংলা।
এদিকে ব্যাপক আলোচনায় বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর উপজেলা আমির, মাওলানা আব্দুর রহমান এর উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচনে প্রার্থীতা ঘোষণায়। সেই সাথে ঢালাওভাবে চালাচ্ছেন নির্বাচনী প্রচারণা। হটাৎ জামায়াতে ইসলামীর আমির নির্বাচনে আসায় নির্বাচনে নতুন করে তৈরি হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা।
অন্য দিকে নির্বাচনে বিএনপির দলীয় সিদ্ধান্ত না হলেও মাঠে কিছুটা তৎপর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক, আলহাজ্ব মাস্টার আব্দুল ওয়াহেদ সাহেবের পুত্র এডভোকেট মাসুদুল আলম দোহা।
এদিকে ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা আরও দীর্ঘ। তাদের মধ্যে কেউ শুভেচ্ছা পোস্টার বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে জানান দিচ্ছেন প্রার্থিতা।
ভোটের মাঠে উপজেলা চেয়ারম্যান পদ নিয়ে কথা হয় স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও সমর্থকসহ অনেকের সাথে। তারা জানান, দলীয় প্রতীক না থাকলেও দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সমর্থন পেতে প্রার্থীরা লবিং করছেন। এতে গণসংযোগ ও সভা সমাবেশে সিনিয়র নেতাকর্মীদের উপস্থিতি নিয়েও প্রার্থীদের মধ্যে চলছে টানা পোড়েন। ফলে কতিপয় প্রার্থী ভুগছেন সীদ্ধান্তহীনতায়। কেউ আবার বলছেন এখন যে বেশি মাঠে দখল করতে পারবে তার পক্ষে উঠতে পারে গণজোয়ার এসব তর্ক-বিতর্ক আর আলোচনা-
সমালোচনার ঝড় ওঠছে চায়ের স্টলসহ আড্ডার স্থানগুলোতে। বইছে নির্বাচনী হাওয়া।