জিএম মামুন নিজস্ব প্রতিনিধি
সাতক্ষীরার শ্যামনগরের গাবুরায় ইউপি চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় লক্ষ লক্ষ টাকা মূল্যের সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডে ২০৯০ মিটার ওয়াপদার বেড়িবাঁধের কাজ চলছে। বেড়িবাঁধের কাজ করতে যেয়ে কপোতাক্ষ নদীর পাড়ে থাকা বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৩ হাজারের অধিক গাছ কেটে ফেলেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আল মামুন ইন্টারপ্রাইজ লিমিটেড। লক্ষ লক্ষ টাকা মূল্যের কাটা গাছ গুলো নিয়ে স্থানীয়রা জ্বালানি থেকে শুরু করে নিজেদের বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করছেন। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ৩ হাজারের ও বেশি গাছ কাটলেও মাথাব্যথা নেই বন বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। এযেন হরিলুটের বাতসা যে যেভাবে পারছে লুটে নিচ্ছে। তবে গাছ কাটার বিষয়ে দায় নিতে চাইছেনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় মোশাররফ হোসেন,যতিন্দ্র নাথসহ অনেকে জানান, লক্ষ লক্ষ টাকার গাছ কেটেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ৩ হাজারের অধিক বিভিন্ন ধরনের গাছ গুলো এলাকাবাসী ও শ্রমীকরা প্রতিনিয়ত নিয়ে নিজেদের কাজে লাগাচ্ছে।
সরকারি গাছ কাটার বিষয় জানতে চাইলে আল মামুন ইন্টারপ্রাইজের ফিল্ড ইন্জিনিয়ার রাকিবুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় জন প্রতিনিধি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য গাছ কেটে নিয়ে জায়গা ফাঁকা করে দিয়েছে। এস্কেভেটর মেশিন দিয়ে গাছ কেটে জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
গাছ কাটার বিষয় জানতে চাইলে স্থানীয় ইউপি সদস্য শহিদুল গাজী বলেন, মেঘা প্রকল্পের কাজের জন্য ওয়াপদার বেড়িবাঁধের রাস্তার জন্য মাটির প্রয়োজন। ওই মাটি নেওয়ার সময় ওয়াপদার উপর থাকা গাছ কেটে ফেলছিল ঠিকাদার। ওই সময় বিষয়টি তিনি চেয়ারম্যানকে অবগত করেন। চেয়ারম্যান সাহেব তাকে গাছ গুলো হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাছুদুল আলম বলেন, গাছগুলো সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যর হেফাজতে রাখা হয়েছে। এছাড়া রেজুলেশন করে গাছ গুলো বিক্রি করবেন বলে নিশ্চিত করেন তিনি।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আক্তারুজ্জামান বলেন, ওয়াপদার গাছ কাটার বিষয়টি তিনি শুনেছেন। তবে গাছ গুলো কেটে ফেলার কারণ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা জানাতে পারবেন বলে তিনি জানান।
শ্যামনগর পানি উন্নয়ন বোর্ডের সেকশন কর্মকর্তা সাজ্জাদুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ওয়াপদার বেড়িবাঁধের কাজের জন্য গাছ কাঁটা হয়েছে। তবে গাছগুলো বনবিভাগের কাছে হস্তান্তর করার জন্য চিঠি ইস্যু করার প্রস্তুতি চলছে।