১৪ আগস্ট মঙ্গলবার সাতক্ষীরা শ্যামনগর উপজেলায় মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের হরিনগর সৎসঙ্গ মন্দিরের সমনে সকাল ১০ ঘটিকায় বর্তমান সময়ে সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষের ওপর চলমান সহিংসতার বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে যুব সংগঠন শরুব ইয়ুথ টিমের উদ্যোগে, একশনএইডের সহযোগিতায় এবং মোঃ আবিদ হোসেন আপনের সঞ্চলনায় “যুব নেতৃত্বে সম্প্রীতি সমাবেশ” অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই সমাবেশের মূল উদ্দেশ্য ছিলো সমাজে শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার জন্য তরুণদের সক্রিয় ভূমিকা সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরি করা। সমাবেশের শুরুতে শরুবের পাবলিক রিলেশনশিপ অফিসার মোঃ আবিদ হোসেন আপন সকল ধর্মের মানুষের সমান অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত করার গুরুত্ব সম্পর্কে বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, “আমাদের সমাজের প্রতিটি মানুষ আমাদের ভাই-বোন। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার প্রতি সম্মান ও ভালোবাসা প্রদর্শন করা আমাদের কর্তব্য। ভিন্ন ধর্মের মানুষদের অন্য চোখে দেখা, তাদের প্রতি বৈষম্য বা সহিংসতা মেনে নেওয়ার কোন সুযোগ নেই। একটি অসাম্প্রদায়িক সমাজ গড়তে আমাদের সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে এবং সব ধরনের সহিংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।”
এরপর, শরুবের নারী সদস্য শেখ মেহনাজ জাহান তিথি সাম্প্রদায়িক সহিংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে তরুণদের একসাথে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “বর্তমানে আমরা যে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার মুখোমুখি হচ্ছি, তা মোকাবিলা করতে আমাদের সকলকে একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে। আমাদের সমবেত প্রচেষ্টা এবং ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপই সমাজে শান্তি ও সম্প্রীতি ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে।”
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন শরুবের যুব সদস্য শুভজিৎ সরকার, সোহেল রানা, মেহজাবিন রহমান, তনুশ্রী মন্ডল, উম্মে সালমা, বিশ্বজীত মন্ডল, অর্পিতা মন্ডল প্রমুখ। তারা তরুণদের সক্রিয় ভূমিকা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধার মাধ্যমে সমাজে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানান। বক্তারা বলেন, তরুণদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সহাবস্থানের মূল্যবোধ প্রচার এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির চর্চার মাধ্যমে একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠন সম্ভব।সবশেষে, শরুব ইয়ুথ টিমের সদস্যদের উদ্যোগে সহিংসতা রোধে একটি ইমার্জেন্সি হটলাইন নাম্বারের আত্মপ্রকাশ করা হয় এবং সকলকে এই হটলাইনের মাধ্যমে সহিংসতার ঘটনার তথ্য জানানোর আহ্বান জানানো হয়।সমাবেশের মূল শ্লোগান ছিল “এসো সংকটে গড়ি মুষ্টিবদ্ধ প্রাণ, সবাই মিলে করি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র নির্মাণ”। শরুব ইয়ুথ টিমের এই উদ্যোগ সমাজে সম্প্রীতি ও শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আয়োজকরা আশা প্রকাশ করেন। সমাবেশটি স্থানীয় কমিউনিটির মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এবং আগামী দিনে শান্তি ও সম্প্রীতির প্রচারে আরও উদ্যোগ নেওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে।