নিউজ ডেস্কঃ-ভোলা জেলাধীন মনপুরা ছাত্রলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক শিহাবের নেতৃত্বে জয় বাংলা স্লোগান” দিয়ে অন্তঃসত্তা গৃহবধূর উপর প্রকাশ্য সন্ত্রাসী তাণ্ডব পরিচালনা করা হয়। অতর্কিত ওই সন্ত্রাসী তাণ্ডবে ২ মাসের অন্তঃসত্তা গৃহবধূর প্রচন্ড রক্তক্ষরণে গর্ভপাত হয় এবং তার স্বামী মহাসিন গুরুতর আহত হয়। জানা যায় ঘটনার দিন পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত ৭ এপ্রিল আহত মহসিন ও তার অন্তঃসত্ত্বায় স্ত্রীকে নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়ার পথে অতর্কিত শিহব, মনির, জামাল, হৃদয় সহ আরো কয়েকজন মিলে আহত মহাসিন ও তার অন্তঃসত্তায় স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করে এবং অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর পেটে লাথি মারে এবং অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরবর্তীতে কয়েক ঘন্টা পর জাতীয় জরুরি সেবার সহায়তায় স্থানীয় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ভুক্তভোগীদের উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বর্তমানে আহত মহাসিন ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী প্রায় চার দিন যাবত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ বিষয়ে মনপুরা থানায় এজাহার দিলেও নেয়া হয়নি কোন ব্যবস্থা। বিষয়টি নিয়ে মনপুরা থানা অফিসার ইনচার্জ কিছুই জানেন না বলে দায় এড়িয়ে যান এবং আমার কাছে লিখিত আমার কাছে অভিযোগ দিলে আমি ব্যবস্থা নিব আমি এখন পর্যন্ত কিছুই জানিনা। অন্যদিকে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর আহত স্বামী মহসিন মিয়া জানান,আমরা পুলিশ সহায়তা উদ্ধার হয়েছি, মনপুরা থানায় আমি নিজে বাদী হয়ে এজাহার দিয়েছি পুলিশ এখন পর্যন্ত নেয় নি কোন ব্যবস্থা।
মনপুরা অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধু হামলা ভোলা জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মোহাম্মদ রায়হান জানান, ছাত্রলীগ কোন সন্ত্রাসের স্থান নেই, অবশ্যই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে, আমি দ্রুতই খবর নিচ্ছি।
উল্লেখ্য ভোলা জেলাধীন মনপুরা উপজেলার ৪ নং দক্ষিণ সাঁকুচিয়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের আহত মহসিন মহসিন মিয়া স্থায়ী বাসিন্দা। তার ২মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ইসরাত জাহান লিজা গর্ভপাত হয়ে বর্তমানে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ গুরুতর অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনার ৪দিন চলে গেলেও এখনো কোনো আসামি গ্রেফতার করেনি মনপুরা পুলিশ। প্রিয় পাঠক এ বিষয়ে সন্ত্রাসী হামলার আরো চঞ্চল্যকর তথ্য অনুসন্ধান চলছে…. আসছে ২য় পর্ব