মেহেদী হাসান,ক্রাইম রিপোর্টারঃ-
ভোলার মনপুরা হাসপাতালে আওয়ামী ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে সরকারি চাকুরী আইন লঙ্ঘন করে স্বাস্থ্য সহকারী (HA) থেকে প্রধান সহকারীর পদ দখল করেন মাহমুদুর রহমান। অবৈধভাবে পদ দখল করা মাহামুদুর রহমান মনপুরা উপজেলায় মুলত স্বাস্থ্য সহকারী হিসাবে নিয়োগ প্রাপ্ত হন। পরবর্তীতে আওয়ামী ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে সরকারি চাকুরী আইন লঙ্ঘন করে স্বাস্থ্য সহকারী থেকে রাতারাতি প্রধান সহকারী হয়ে হয়ে যান অভিযুক্ত মাহমুদ রহমান। অথচ স্বাস্থ্য বিভাগের সরকারি চাকুরীবিধি আইন অনুযায়ী একজন স্বাস্থ্য সহকারী (HA) প্রথমে পদোন্নতি হবেন স্বাস্থ্য সহকারী পরিদর্শক ও এরপর স্বাস্থ্য পরিদর্শক হিসেবে। অভিযোগ রয়েছে মাহামুদুর রহমান আওয়ামী শাসন আমল থেকে শুরু করে আজও মনপুরা হাসপাতালের সকল সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত।। তার এসব অপকর্ম জানাজানি হলে, পরে তাকে ভোলার খায়ের হাট হাসপাতালে জরুলি বদলী করেন স্বাস্থ্য বিভাগ । এরপর ২ মাস না যেতেই আওয়ামী মদদপুষ্ট স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে মাহামুদুর রহমান ফের বদলী হয়ে মনপুরায় যোগদান করেন। মনপুরা হাসপাতালের কলাতলী ইউনিয়নের স্বাস্থ্য সহকারী আব্দুর রাজ্জাক জানান, মাহামুদুর রহমান আমার সাথে স্বাস্থ্য সহকারী হিসাবে নিয়োগ পেয়েছেন পরে মাহামুদুর কি ভাবে প্রধান সহকারী হলেন বিষয়টা আমি জানি না, তবে আমি এখনও স্বাস্থ্য সহকারী।।বিষয়টি নিয়ে মনপুরা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সোহেল কবির বলেন, মাহামুদুর রহমান স্বাস্থ্য সহকারী থেকে কি ভাবে প্রধান সহকারী হলেন এ বিষয়ে আমি জানি না। আমি আসার আগেই মাহামুদুর প্রধান হিসাব সহকারী হিসাবে যোগদান করেছেন। হাসপাতালে চলতি অর্থ বছরের বরাদ্দের টাকা অনিয়ম ও হাসপাতাল সিন্ডিকেট, মনপুরা ডায়গনস্টিক ব্যবসা,মৎস্য ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে মাহমুদু রহমানের বিরুদ্ধে। বিষয়টিকে স্বাস্থ্য বিভাগের উদাসীনতাকে দায় করছেন স্থানীয় সচেতন মহল।
মাহমুদ রহমানের ও মনপুরা স্বাস্থ্য বিভাগের নানা অপকর্ম নিয়ে থাকতে আমাদের ১০টি পর্ব। ধারাহিক প্রতিবেদন দেখতে চোখ রাখুন দ্বিতীয় পর্বে