নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা জেলার সদর সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের দলিল লেখক জিএম আব্দুর রহিম ভূয়া দলিল, জাল দলিল বানিয়ে বা সরল মানুষের দললে সমস্যা সৃস্টি করে অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক বনে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে ।
জেলার সদর থানার পাচানী( বৈচনা) গ্রামের দরিদ্র কৃষকের ছেলে রহিম বাবার নিকট হতে কোন কিছু না পেলেও অবৈধ কাজ করে কোটি কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন।
বৈচনা এলাকার মিলন, হাসান, মধু সহ একাধিক সূত্রে জানা যায়, রহিম একজন চরিত্রহীন কালোবাজারী ও ব্লাকমেইলার । সে একসময় চোরাচালানের সাথে জড়িত ছিল। সম্প্রতি কয়েক বছর যাবত সে সাব রেজি: অফিসে দলিল লেখকের কাজ করে । তার উচ্ছৃংখল আচরনের কারনে তার বাবা তাকে বাড়ী থেকে বের করে দেয়। একই কারনে সাব-রেজিষ্ট্রি অফিস হতে তার দলিল লেখকের কাগজপত্র কিছুদিন স্থগিত করে রেখেছিল।
রহিম ক্লাইন্টদের ব্লাকমেইল করে ভুয়া/জাল দলিল ঠিক করে দিবে বলে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।
খোঁজ নিতে আরো ভয়ংকর তথ্য বেরিয়ে আরে তার বিরুদ্ধে। ধুরন্ধর রহিম ২০০৪ সালে এসএসসি পাশের জাল সনদ তৈরি করে এসএসসি পাশ দেখিয়ে দলিল লেখকের লাইসেন্স নেয়। ২০২০ সালে এসব জালিয়াতির খবর প্রকাশ হলে সদর সাব রেজিষ্ট্রি অফিস বিভাগীয় তদন্তপূর্বক তাকে সাময়িক বহিষ্কার করে। কিন্তু পরবর্তীতে কোন অজানা কারনে সে পুনরায় এ কাজ চালিয়ে যায়। বিষয়টি বর্তমান সাব-রেজিষ্ট্রারের দৃষ্টিগোচর না হলে অনেক সরল সাধারণ মানুষ চরম বিপাকে পড়বে বলে মনে করছেন অনেকে।
এদিকে তার এসব পাকাপোক্ত জালিয়াতি কাজের মাধ্যমেই সে পাচানী গ্রামে ৩ কোটি টাকার বাড়ী তৈরী করেছে। রাজকীয় গাড়ী চড়ে চলাফেরা করে। সে এ অবৈধ টাকায় এলাকায় ২/৩ কোটি টাকার জমি কিনেছে। একজন দলিল লেখক কিভাবে কোটি কোটি টাকার সম্পদের মালিক হতে পারে, বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরসহ দুদকের মাধ্যমে খতিয়ে দেখার দাবী জানিয়েছে এলাকার সচেতন মহলসহ সুধীজন।