আব্দুল আলিমঃ নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
ভারতের পুরোহিত রামগিরি মহারাজ ও মহারাষ্ট্রের বিজিপির সাংসদ নিতেশ নারায়ন রানে কর্তৃক রাসুল (সাঃ) এর অবমাননা ও বায়তুল মোকাররম মসজিদের সহিংস ঘটনার প্রতিবাদে শ্যামনগরে র্যালি ও প্রতিবাদ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার ২৮ সেপ্টেম্বর বাদ আসরের নামাজ বাদ থানা জামে মসজিদের সামনে থেকে র্যালিটি সদরে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেসি কমপ্লেক্সের সামনে শেষ হয়। পরবর্তীতে প্রতিবাদ সমাবেশে উপজেলা ইমাম পরিষদের সভাপতি থানা মাদ্রাসার মুহতামিম ও উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব আলহাজ্ব মুফতি আব্দুল খালেকের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক জামেআ হাম্মাদিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা মওছুফ সিদ্দিকীর সঞ্চালনায়
শ্যামনগরে সর্বস্তরের ওলামা একরাম ও তৌহিদি জনতা আয়োজনে শত শত ধর্মপ্রাণ মুসলমান ও বিভিন্ন মসজিদের ইমাম,মাদ্রাসার শিক্ষক ও ছাত্র উপস্থিতি ছিলেন।প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন,থানা মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মাওলানা মোস্তফা কামাল,হাফেজ রবিউল ইসলাম, শ্রীফলকাটি দাওরা হাদিস মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতি জিয়াউর রহমান, মাওলানা আবু বক্কর সিদ্দিক, আলহাজ্ব মাওলানা হাফিজুর রহমান, কুলতলি মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা হাফিজুর রহমান, হাসপাতাল জামে মসজিদের পেশ ইমাম আলহাজ্ব মাওলানা আজাদ হুসাইন প্রমুখ।
বক্তাগণ বলেন,গত আগস্ট মাসে রাসূল (সাঃ) -এর নামে কটূক্তি করেন, ভারতের মহারাষ্ট্রের হিন্দু পুরোহিত রামগিরি মহারাজ, তাকে সমর্থনকারী বিজেপির সাংসদ নিতেশ নারায়ণ রানে। তাদের বিরুদ্ধে থানায় অসংখ্য মামলা হলেও এখনো রাজ্য সরকার তাদেরকে গ্রেপ্তার না করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, রামগিরি মহারাজ রাসূল (সাঃ) -এর নামে জঘন্যতম কটুক্তিমূলক বক্তব্য দেন। এর প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে মহারাষ্ট্রের মুসলিম জনতা। রামগিরির বিরুদ্ধে রাজ্যজুড়ে ৫০ টিরও বেশি মামলা হয়। রামগিরির পক্ষে সমর্থন জানিয়ে একের পর এক মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য দিতে থাকেন মহারাষ্ট্রের বিজেপির হিন্দুত্ববাদী সাংসদ নিতেশ নারায়ন রানে।
বক্তরা আরো বলেন,ভারতের হিন্দু পুরোহিত রামগিরি মহারাজ আমাদের প্রাণপ্রিয় মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)এর বিরুদ্ধে কটুক্তি করে বিশ্ব মুসলিমের কলিজায় আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। আমরা এসবের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) অবমাননাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে সঠিক বিচারের জোর দাবি জানাচ্ছি। এছাড়া বাইতুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সদ্য অপসারিত খতিব মুফতি রুহুল আমিন জুম্মার নামাজ পড়ানোর চেষ্টা কালে মসজিদের অভ্যন্তরে সংঘর্ষ ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় দেশ-বিদেশের সকল আলেম-ওলামা ও সাধারণ মুসলমানদের মাঝে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সাথে সাথে দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।