দৈনিক সময় ডেস্ক:
প্রথম দুইজন রোগী পাওয়া গেছে। উভয় রোগীকে আলাদা করা হয়েছে এবং তাদের নমুনা জিনোম পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। কর্ণাটক রাজ্য সরকার বলেছে, অত্যন্ত সংক্রামক এ নতুন ধরন নিয়ে বিশ্বব্যাপী সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এর মধ্যেই দেশটিতে এ ধরন শনাক্ত হলো।
৪৬ বছর বয়সী যিনি ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি, বেঙ্গালুরুর একজন স্বাস্থ্যকর্মী। তার শরীরে গত ২১ নভেম্বর জ্বর এবং শরীর ব্যথার লক্ষণ প্রকাশ পায়। পরের দিন তিনি পরীক্ষায় পজেটিভ হন ও হাসপাতালে ভর্তি হন। একই দিনে তার নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছিল। তবে তিন দিন পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তার টিকা দেওয়া হয়েছে কি না তা এই মুহুর্তে অস্পষ্ট।
দুই রোগীর সংস্পর্শে যারা এসেছে তাদের সবাইকে সনাক্ত করা হয়েছে। তাদের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে অন্তত পাঁচ জনের করোনা পজেটিভ এসেছে বলে জানানো হয়েছে। তাদের আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে বলেও জানানো হয়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়েরযুগ্ম সচিব লাভ আগরওয়াল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘ওমিক্রন সনাক্তকরণ সম্পর্কে আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। তবে সচেতনতা একেবারে অপরিহার্য। করোনার বিধি নিষেধ মেনে উপযুক্ত আচরণ অনুসরণ করুন, জমায়েত এড়িয়ে চলুন।’
প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ওমিক্রন আগের রূপগুলির তুলনায় লক্ষণীয়ভাবে বেশি সংক্রামক হতে পারে। তবে, ধরনটি আরো মারাত্মক হওয়ার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। আজ বৃহস্পতিবার দেশটিতে ৯৭৬৫ জন নতুনকরে করোনা আক্রান্ত হয়েছে।