মোঃ ফরিদ উদ্দিন বিশেষ প্রতিনিধি ।
অস্তিত্ব সংকটে বিএনপি-
বিএনপি কেন্দ্রীয় কমান্ড থেকে সংসদ নির্বাচন বর্জনের পর আবার ও উপজেলা নির্বাচন বর্জনের ডাক দিয়েছে তখন সারা দেশে বিএনপির শীর্ষ নেতা সহ জেলা ও উপজেলা নেতারা কেন্দ্রীয় আদেশ উপেক্ষা করে নির্বাচনের প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন!
বিএনপির অনেক সিনিয়র নীতি নির্ধারণী ও জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতারা উপলব্ধি করছে তাদের সংসদ নির্বাচনের অংশগ্রহণ না করা চরম ভুল হয়েছে।
বিএনপির নেতাদের মধ্যে চরম হতাশা বিরাজ করছে। তারা এখন উপলব্ধি করছে নির্বাচন বর্জন করা তাদের জন্য আত্মাহুতির শামিল হয়েছে। আজ পুরো পৃথিবী দেখেছে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু সুন্দর ও অংশগ্রহণমূলক হয়েছে। বর্তমান সরকার নির্বাচিত হওয়ার কারণে আওয়ামীলীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কে অভিনন্দন জানাচ্ছে।তারা এখন উপলব্ধি করছে নির্বাচন বর্জন করা তাদের জন্য ভুল ছিল।
সম্প্রতি, উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ কাউকে দলীয় প্রতীক নৌকা দেবে না বলে জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বিএনপি উপজেলা নির্বাচন প্রতীকবিহীন হওয়া নিয়ে নানা কথা বলছে। অথচ প্রতীকবিহীন নির্বাচন করার বিষয়টি আমাদের দেশে বহু আগে থেকে আলোচনায় ছিল। হঠাৎ করে সিদ্ধান্ত হয়নি। প্রায় দুই বছর ধরে এটি আলোচনার মধ্যে ছিল।
আওয়ামী লীগ যখন ২০০৯ সালের সরকার গঠন করে, এরপর যখন উপজেলা নির্বাচন হয় তখন কিন্তু প্রতীক ছিল না। প্রতীক দেওয়ার বিধান পরে চালু হয়। স্থানীয় সরকার নির্বাচন বরাবরই প্রতীকবিহীন হয়েছে। আগের সেই পদ্ধতির কথাই বলা হচ্ছে। সেখানে সবাই উপস্থিত থাকবে এবং যে যার মতো নির্বাচন করবে। যারা বিজয়ী হবেন, তারা উপজেলা চেয়ারম্যান হবেন। এটা নতুন কিছু না।
বহু শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম অর্জিত হয়েছে। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে, জাতির পিতার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমাদের স্বাধীনতা এসেছে। স্বাধীনতা কারো হুইসেল বাজানোর মাধ্যমে আসেনি। বহু সংগ্রাম, বহু রক্তের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতা এসেছে। আজ অনেকে স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস বিকৃতি করে।
সেদিন যারা স্বাধীনতা সংগ্রাম মেনে নিতে পারিনি তারা আজ বিকৃত করে। বলার চেষ্টা করে একটি হুইসেল বাজানোর মাধ্যমে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয়েছিল। স্বাধীনতা সংগ্রাম তারা অস্বীকার করে।
২০০৮ সালের নির্বাচনের পর থেকেই বিএনপি বারবার নির্বাচন নিয়ে নানা রকমের ষড়যন্ত্র বিতর্ক তৈরি করার চেষ্টাকরেছে। এখনও তাদের ষড়যন্ত্র চলমান তবে তারা নানা বিষয়ে ব্যর্থ হয়ে এখন চরম হতাশার মধ্যে রয়েছে। দলের মধ্যে কয়েকটা গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়েছে।
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক এক বিএনপি নেতা বলেন সাধারণ মানুষের ডাকে সাড়া দিয়ে আমরা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক যেহেতু এই নির্বাচন প্রতীকবিহীন হবে বলে ঘোষণা এসেছে তাই নেতৃত্ব ধরে রাখতে এই নির্বাচনে আমরা অংশগ্রহণ করতে চাই।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটির যে আদেশ দেবে সেই আদেশ মোতাবেক কাজ করা হবে।
তাই বিএনপি এখন কর্মী সমার্থক দলকে কতদিন ধরে রাখতে পারবে তা নিয়ে দেশের সুশীল সমাজ রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মধ্যে জল্পনা কল্পনা শুরু হয়ে গেছে।