জিএম মামুন স্টাফ রিপোর্টার: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে বাগদা চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশের ছবি, ভিডিও ধারণ ও তথ্য সংগ্রহ করতে পেয়ে পুশ সিন্ডিকেটের দ্বারা অবরুদ্ধ ও শারিরীকভাবে নিগৃহীত হয়েছেন তিন সংবাদকর্মী। বেপরোয়া পুশ সিন্ডিকেট এ সময় সংবাদকর্মীদের ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে মুছে দিয়েছে ধারণকৃত ভিডিও ও ছবি। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার (১৯ মে) বেলা ১১ টার দিকে উপজেলার চাম্পাফুল ইউনিয়নের উজিরপুর বাজার এলাকায়।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার উজিরপুর গ্রামের মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে তপু গাইন (৩৬) এর বাড়িতে দেশের অন্যতম হিমায়ীত রপ্তানী পন্য বাগদা চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশের কাজ চলছিল। বিষয়টি জানতে পেরে জিএম মামুন, আরাফাত আলী ও চাম্পাফুল এলাকার সাংবাদিক জিএম বারী সচিত্র প্রতিবেদন করার উদ্দেশ্যে সেখানে যান। তারা প্রয়োজনীয় ছবি, ভিডিও এবং তথ্য সংগ্রহ করে উজিরপুর বাজার এলাকায় একটি চায়ের দোকানের সামনে পৌঁছালে সেখানে হঠাৎ উপস্থিত হন তপু গাইন, একই এলাকার নুনু গাজীর ছেলে আব্দুর রশিদ গাজী (৩৪), ঘুষুড়ি গ্রামের মালেক গাজীর ছেলে আব্দুস সালাম গাজী (৪২) ও তাদের ৩০-৪০ জন সহযোগী। এসময় রশিদ গাজীর নেতৃত্বে তপু গাইন ও আব্দুস সালাম সাংবাদিক আরাফাত আলী ও মামুনের মোবাইল ফোন, ব্যুম ও ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে অপদ্রব্য পুশের ছবি এবং ভিডিও ডিলিট করে দেয়। এক পর্যায়ে রশিদ গাজী সাংবাদিক জিএম মামুনকে উদ্দেশ্যে করে বলে, বিগত কয়েক মাস পূর্বে তোর নিউজের কারণে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়েছিল। তোর নিউজের কারণে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে, আমরা জেল খেটেছি। আজ তোদের পেয়েছি, দেখি আজ তোদের কে বাঁচায়। এ কথা বলার পরপরই আব্দুর রশিদের নির্দেশে তার সহযোগীরা সাংবাদিক আব্দুল বারী, আরাফাত আলী ও জিএম মামুনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। পরে সব ছবি ও ভিডিও মুছে ফেলে আরাফাত আলী ও জিএম মামুনের মোবাইল ফোন ফেরত দিলেও ব্যুম ও ক্যামেরা নিয়ে যায় তারা। তিন সংবাদকর্মীকে লাঞ্ছিত করার পাশাপাশি সংবাদ সংগ্রহের কাজে ব্যবহৃত ফোন, ক্যামেরা ও ব্যূম কেড়ে নেয়ার ঘটনায় থানায় একটি এজাহার দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান জিএম মামুন।
এদিকে এঘটনা জানাজানি হলে কালিগঞ্জ উপজেলা এলাকায় কর্মরত সাংবাদিকদের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে যেয়ে পুশের সাথে জড়িত যেসব অসাধু ব্যবসায়ী সাংবাদিকদের উপর হামলা ও মারপিট করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কালিগঞ্জ রিপোর্টার্স ক্লাব, নলতা প্রেসক্লাব ও কালিগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির পক্ষ থেকে প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানানো হয়েছে।