হাবিবুর রহমান মুন্না,কুমিল্লা প্রতিনিধি।
মানুষদের ভালোবাসার ফুলে ফুলে সিক্ত হলেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন উপ-নির্বাচনে সদ্য নির্বাচিত “নগর কন্যা “খ্যাত মেয়র ডা. তাহসীন বাহার সূচনা। গতকাল রবিবার (১০ মার্চ) সন্ধ্যায় নগরীর রামঘাটলা স্থলে কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যলয় প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির সামনে এ ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।
নবনির্বাচিত মেয়র ডা. তাহসীন বাহার কুমিল্লাবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে এ ফুলেল ভালোবাসা জাতির পিতার প্রতি উৎসর্গ করেন।নির্বাচন শেষ হওয়ার পর গতকাল ৯ মার্চ শনিবার বিকেল থেকেই দলীয় নেতা-কর্মী,সমর্থক,স্বজন আর শুভাকাঙ্ক্ষীদের অগণিত শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন বার্তায় ভাসছিল সামজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। গতকাল রবিবার বিকেলে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসের সঙ্গে ফুল হাতে শুভেচ্ছা জানাতে জনতার ঢল নামে মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালের সামনে। ফুল হাতে আসেন নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন শ্রেণি, পেশার মানুষের প্রতিনিধিরা। এর মাঝে ক্ষণে ক্ষণেই স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠছিল নগরীর প্রাণকেন্দ্র কান্দিরপাড় এর রামঘাট এলাকা। মাগরিবের আজানের কিছুক্ষণ আগে দলীয় কার্যলয়ে আসেন কুমিল্লার অবিসংবাদিত জননেতা সিটি করপোরেশন উপ-নির্বাচনে ভূমিধস বিজয়ের নেপথ্যের কারিগর বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার এমপি।
শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে। সন্ধ্যার পরপরই অপেক্ষার অবসান হলো,এলেন নগর কন্যা ডা. তাহসীন বাহার সূচী। আরও একবার স্লোগানে প্রকম্পিত হলো পুরো এলাকা। আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী, সমর্থকদের সঙ্গে বিভিন্ন পেশাজীবি সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, নানা সাংস্কৃতিক সংগঠন সংশ্লিষ্ট লোকজনও আসেন শুভেচ্ছা জানাতে।
প্রথমে ফুলের শুভেচ্ছা জানান গার্লস গাইড এসোশিয়েশন কুমিল্লা আঞ্চল, জাতীয় মহিলা সংস্থা কুমিল্লা, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ( স্বাচিপ), স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ (স্বাশিপ) সহ প্রায় তিন শতাধিক সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান।
আবার অনেকেই এসেছেন নতুন মেয়রকে এক নজর দেখতে। এসব মানুষের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান নতুন মেয়রের কাছে নতুন প্রত্যাশার কথা।
দেশকল্যান সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সভানেত্রী রাইয়ানুল জান্নাত রোজা বলেন,ডা. তাহসীন বাহার সূচনা অনেক আগে থেকেই জনবান্ধব কার্যক্রম করে আসছেন। জনকল্যাণে তিনি সিদ্ধহস্ত। নগরবাসীর প্রত্যাশা একটা পরিকল্পিত সুন্দর নগরী বিনির্মান। নগরের সাধারণ মানুষের মতো আমিও বিশ্বাস করি শহরের দীর্ঘ জঞ্জাল দূর করা উনার মত একজন ডায়নামিক নেত্রী দ্বারাই সম্ভব ।’
কলেজ শিক্ষক তোফায়েল আহমেদ বলেন,এই কুমিল্লার মাটি, মানুষ,পরিবেশ ও সংস্কৃতিকে প্রাধান্য দিয়ে তিনি তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহারের মতো কুমিল্লার মানুষের কল্যাণে কাজ করবেন। কুমিল্লার হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে সচেষ্ট হবেন এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
ফুলেল শুভেচছা প্রদানকালে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার এমপি, সহ সভাপতি এড. জহিরুল ইসলাম সেলিম, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আতিকুল্লাহ খোকন সহ দলের, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এদিকে ফুল দিতে আসা সকলকে মিষ্টিমুখ করানো হয়। অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে মিষ্টি বিতরণ করেন স্বেচ্ছাসেবীরা।