চরভদ্রাসন, সদরপুর প্রতিনিধি:
ফরিদপুর জেলা পরিষদ সদস্য একলাছ আলী ফকিরের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় গতকাল রাতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এজাহারনামীয় আসামী সজিব ও মুরাদ নামে দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। গত ২৫ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুরে তিনি কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের পাশ্ববর্তী এলাকায় বিবাহ অনুষ্ঠান থেকে প্রাইভেটকার যোগে বাড়ি ফেরার পথে একদল দুষ্কৃতকারী সন্ত্রাসী তার গাড়ির গতিরোধ করে এবং তার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার হাত,পা, ও মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি ভাবে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এসময় তারা তার গাড়িটি ব্যাপক ভাংচুর চালায় এবং তার গাড়িতে থাকা নগদ দুলক্ষ টাকা ও মানিব্যাগসহ মূল্যবান কাগজপত্র নিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে আশংকাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে সদরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। এসময় তার শরীরে বত্রিশটি সেলাই দেওয়া হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে। এখনও তার অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছেন তার চিকিৎসক। এঘটনায় তিনি নিজে বাদী হয়ে সদরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তিনি বলেন, কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিল্লাল ফকিরের লোকজন প্রায়ই আমার নিকট চাঁদা দাবি করে আসছিলো। কিছু দিন আগেও আমি তাদেরকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা হিসেবে দিয়েছি। এরপরও তারা ঈদের সময় আবারও আমার নিকট চাঁদা দাবী করে। আমি দিতে অস্বীকৃতি জানাই, যার কারনেই আমার উপর এই হামলা চালানো হয়েছে। উক্ত মামলাটিকে অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) মোঃ হেলালউদ্দিন ভূইয়া। তিনি বলেন ফরিদপুর জেলা পরিষদ সদস্য একলাছ আলী ফকিরের উপর যারা সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে তারা যত বড় শক্তিশালী হোক না কেন তাদের গ্রেফতারপূর্বক আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। এসময় তিনি বলেন, এঘটনায় গতকাল রাতে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। আইন শৃংখলা বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে, অচিরেই বাকি আসামিদেরও গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।