প্রেমিকার সাথে স্বামীর ঘর ছেড়ে পালিয়েছে গৃহবধু রাকিবা খাতুন।
শ্যামনগর প্রতিনিধি
একের পর এক বিয়ে করে নারী নির্যাতনের মামলার ভয় দেখিয়ে দেনমোহরানা বাবদ টাকা নিয়ে কয়েকটি পরিবারকে নিঃস্ব করছে শ্যামনগর উপজেলার রমজান নগর ইউনিয়নের তারানিপুর গ্রামে পিতা আনছার শেখ মাতা রাবিয়া খাতুনের তিন মেয়ের মধ্যে ছোট মেয়ে রাকিবা খাতুন এ করিম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীতে পড়া কালিন অত্যন্ত উশৃংখলতার কারণে পিতা পারিবারিকভাবে তাকে বিয়ে দেয় বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের উত্তর কদমতলা গ্ৰামে । স্বামীর সংসারে কিছুদিন থাকার পর স্বামীর সংসার থেকে সোনা, টাকা নিয়ে পালিয়ে বাপের বাড়ি চলে যায়।পরে বিষয়টি নিয়ে রমজান নগর ইউনিয়ন পরিষদে কয়েক বার সালিশ বসে কিন্তু নিষ্পত্তি হয়নি পরে বিশিষ্ট সমাজ সেবক জনাব আফজাল সরদারের বাসায় অনেক বার বিচার সালিশ করার পর মেয়ে এবং মায়ের উগ্রতার কারণে সেই সংসার করা সম্ভব হয়নি। পরে স্বামীকে নারী নির্যাতনের মামলা করার ভয় দেখিয়ে স্বামীর কাছ থেকে দেনমোহরানা বাবদ ৫০হাজার টাকা নিয়ে বিদায় নেয়। পরবর্তীতে তার পরিবার আবারো মেয়েটিকে বিয়ে দেয় বিয়ের কিছুদিন দিন পর মেয়েটি আবার মোবাইলে অন্য একটি ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে স্বামীর দেওয়া গয়না মালামাল নিয়ে অজানার উদ্দেশ্য পাড়ি দেয়। পুলিশ ,রেপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান RAB এবং অনেক খোঁজাখুঁজির পর যশোর নোয়াপাড়া থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
এবং তাকে তার পিতা-মাতার কাছে হস্তান্তর করা হয়।
পিতা মাতা টাকা পয়সা আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে মেয়েকে দিয়ে ছেলেকে তালাকনামা পাঠায়।
বর্তমানে মেয়েটি পালিয়ে যাবা ছেলের সাথে বিয়ে করার প্রস্তাব দিলে ছেলেটার বিয়ে করতে
অস্বীকার করেছে ।
একের পর এক বিয়ে করে স্বামীর টাকা পয়সা নিয়ে আত্মসাৎ করাএই মেয়ে এবং মা রাবেয়া খাতুনের স্বভাবে পরিণত হয়েছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী ভুক্তভোগী পরিবাররা বলছেন একটা মেয়ে কয়টা ছেলের জীবন ধ্বংস করবে নিঃস্ব করবে কয়টা পরিবারকে।
বিষয়টি নিয়ে রমজান পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব আল মামুনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন মেয়েটা খুবই উশৃংখল তার জন্য ইউনিয়ন পরিষদে অনেকবার সালিশ করা হয়েছে সে অনেক ছেলের জীবন ধ্বংস করে দিয়েছে বিয়ের ফাঁদে ফেলে।