রকিবুল হাসান তোতা চুয়াডাঙ্গা:
চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলার বাঁকা ইউনিয়নের মিনাজপুর মাঠপাড়া গ্রামের কতিপয় কিছু প্রভাবশালী মহল দির্ঘ ২৫ বছর যাবৎ সরকারী ৩৭ ফুট রাস্তার নির্ধারিত জমি দখল করে গড়ে তুলেছেন পাকা দোকান পাট সহ বসত বাড়ি।
সরে জমিনে ঘুরে দেখা যায় মিনাজপুর মাঠপাড়া গ্রামের কতিপয় প্রবাবশালী মেসের আলীর ছেলে মিয়াকত ও আক্কাচ আলী সরকারি জমিতে পাকা দোকান নির্মান করে দেদার্সে ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
অন্য দিকে সাহেব আলীর ছেলে মোমিনুল ইসলামের নিজস্ব সম্পত্তি থাকলেও কিছু রাজনৈতিক নেতার ছত্রছায়াতে থাকার কারনে বসবাসের জন্য করেছেন টিন সেটের বাড়ি,এবং লাল মিয়ার ছেলে সহিদুল ও মহিদুল সহ কয়েকজন ব্যক্তি সরকারি জায়গাটি দির্ঘদিন যাবৎ দখল করে রেখেছেন। অন্যদিকে ভূমি হীন জলিল মুন্সী (৬০), আসান আলী(৪৫), জুয়েল রানার(৩৫) ভূমিহীন হিসাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসাবে পূর্ণবাসন কেন্দ্রে থাকার জন্য বাঁকা ইউনিয়নের ঘোষনগরে সকলেই একটি করে বসত বাড়ি পেয়েছেন।
সকলে একটি করে সরকারি বাড়ি পেলেও মিনাজপুর মাঠপাড়া গ্রামের সরকারী জায়গাটি ভোগদখল করেই রেখেছেন।
এতো কিছুর পরেও প্রভাবশালী কিছু নেতা কর্মিদের ছত্রছায়াতে থাকার কারনে স্থানীয় ভাবে প্রভাব খাটিয়ে এখনো বসবাস করছেন পরিবারগুলো।
এদিকে ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে ব্রীকফিল্ড হতে আন্দুলবাড়িয়া পর্যন্ত রাস্তা দুি পাশে ৪ ফুট করে প্রসস্থ সেি হিসেবে রাস্তাটির নির্মানের সরকারি ভাবে বাজেটে বর্তমানে রাস্তা নির্মানের কাজ চলছে।
মিনাজপুর মাঠপাড়া বেলেমাঠে মালিকানা জমির উপর দিয়ে রাস্তাটি এর আগে নির্মান করা হলেও রাস্তার নিচে ৩৭ ফুট রাস্তার জমি পরে রয়েছে, মিনাজপুর মাঠপাড়া (বেলেমাঠের) আলী হেসেন স্বর্ণকারের বাড়ির নিচ হতে তিন রাস্তার মোড় পর্যন্ত।
এদিকে ভুক্তভোগী ২০ পরিবারের পক্ষে মৃত সুলতান দেওয়ান এর পুত্র মোঃ তোফাজ্জেল হোসেন বলেন আমাদের বাব দাদার সম্পত্তির উপরে দির্ঘ ৪০ বছর যাবউ বসবাস করছি আমরা এর আগে যখন রাস্তাটি নির্মান করা হয়েছিলো তখন আমরা বলেছিলাম রাস্তার জমিতে রাস্তা নির্মান করতে তখন তারা রাস্তাটি আমাদের বাপ দাদার সম্পত্তির উপরে নির্মান করেছিলো, এখন যদি আবারো আমাদের এই অল্প সম্পত্তির ভিতরে দুই পাশে ৪ ফুট করে রাস্তার জন্য যমি দিতে হয় তা হলে আমাদের থাকার জায়গার অনেক সংকট হয়ে যাবে,রাস্তা জন্য সরকারি ৩৭ ফুট জায়গা রয়েছে, সেদিক দিয়ে রাস্তাটি নির্মাণ করা হলে আমরা অন্তত ২০ পরিবারে মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারবো।
রাস্তার জমি দখল কৃত ব্যক্তিদের পক্ষে মৃত সুরুজ মুন্সীর ছেলে আ: জলিল বলেন যদি সরকারি বাবে আমাদেরকে বলে রাস্তার জমিটি ছেড়ে দিতে তা হলে আমরা রাস্তার জমি ছেড়ে দিবো,সরকারি ভাবে কোন প্রস্তাব আসেনি বলে আমরা সরকারি রাস্তার জমিতে বসবাস করছি।
এই বিষয়ে জীবননগর এলজিডি অফিসের এক কর্মকরতা থেকে যানা যায় গ্রাম বাসি বিষয়টি সম্পর্কে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে, আমরা উচ্চ মহলে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত করেছি, গ্রাম বাসির লিখিত অভিযোগের অতি দ্রুত সমাধান মিলবে বলে আশা করা যায়।