এস এম নকিব নাছরুল্লাহ্,পিরোজপুর :-পিরোজপুর পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম (পিপিএম) মহোদয়ের নির্দেশে সদর থানার অফিসার ইন চার্জ মোঃ আসিকুজ্জামান (পিপিএম) এর নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে ওমান প্রবাসীর বাড়িতে চুরি হওয়া-০৩ ভরি স্বর্ণালংকার সহ-০১ জন আসামীকে গ্রেপ্তার করে সদর থানা পুলিশ।ওমান প্রবাসী মোসাঃ মরিয়ম আক্তার সীমা (৩৫) স্বামী- মোঃ ইমরান শেখ পিরোজপুরের দূর্গাপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের দক্ষিন জীবগ্রামে বাবার বাড়িতে বসবাস করেন। গত ৩০/৩/২০২৪ তারিখ রাত্র ১১.০০ ঘটিকায় রাতের খাবার খেয়ে পরিবার সহ ঘুমিয়ে পরেন। রাত ০৩.০০ টার সময় সেহরী খাওয়ার জন্য উঠে দেখতে পান ঘরের মাঝ রুমের আলমারির দরজা খোলা ও মালামাল ছড়ানো ছিটানো। তিনি আলমারী ও ঘরের মালামাল চেক করে দেখতে পান ১ টি স্বর্ণের চেইন, ৫ টি স্বর্ণের আংটি, ১ টি ডায়মন্ডের নাকফুল, ২ টি স্বর্ণের ব্রেসলেট, ০৪ টি কানের ফুল, ১৫ আনা ওজনের ১ জোড়া স্বর্ণের রুলি সহ সর্বমোট ৩.১৫ ভরি স্বর্ণ যার মূল্য আনুমানিক ৩৫০,০০০ টাকা, ১ টি স্মার্ট ঘড়ি, ১ টি ৫২ ইঞ্চি ওয়ালটনের টেলিভিশন, ০৭ টি পাসপোর্ট, ১ টি ইসলামী ব্যাংকের কার্ড, সহ ০৪ টি রেসিডেন্সিয়াল কার্ড খোয়া যায়। তিনি বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যানকে জানানো সহ গত ৭/৩/২০২৪ তারিখ পিরোজপুর সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পিরোজপুর সদর থানা পুলিশ তাৎক্ষনিক বিষয়টি আমলে নিয়ে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ জুলফিকার ও এসআই শাহজাহানের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে সদর থানাধীন কলাখালী ইউনিয়নের পথের হাট এলাকা থেকে কুখ্যাত চোর মোঃ মনিরুজ্জামান রিপন (৩৫) পিতা- মোঃ ইসরাইল হোসেন মোল্লা কে গ্রেপ্তার করেন।তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক তার দেখানো মতে নিজের লুঙ্গির কোচ থেকে এবং আসামীর বসত ঘর হতে ১ টি স্বর্ণের চেইন, ৫ টি স্বর্ণের আংটি, ১ টি ডায়মন্ডের নাকফুল, ২ টি স্বর্ণের ব্রেসলেট, ৪ টি কানের ফুল সহ সর্বমোট ০৩ ভরি স্বর্ণ যাঁহার বাজার মূল্য আনুমানিক ২,৭০,০০০ টাকা সহ ০৭ টি বাংলাদেশী পাসপোর্ট এবং ০৪ টি রেসিডেন্সিয়াল কার্ড উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয় বলে পিরোজপুর জেলা পুলিশ সুপার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এ সময় জেলা পুলিশ সুপার সহ উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্), মোঃ মুকিত হাসান খান,পিরোজপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আসিকুজ্জামান সহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা বৃন্দ। জেলা পুলিশ সুপার এ ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তার এবং চুরি যাওয়া বাকী মালামালগুলো উদ্ধারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন। জানা যায় যে প্রবাসী মরিয়ম আক্তার সীমা (৩৫) দীর্ঘ ১২ বছর ওমানে প্রবাসী হিসেবে কাজ করছেন। তিনি তার চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকার পেয়ে জেলা পুলিশকে ধন্যবাদ জ্ঞাপণ করেন।