একজন আত্মপ্রত্যয়ী নারী সহজেই নিজেকে স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলতে পারে। নিজের সাথে সাথে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে। নিজেকে ঘরবন্দী করে না রেখে সাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করতে হবে। তাহলে কখনো কারো কাছে ছোট হয়ে থাকতে হবে না অন্যের দ্বারস্থ হতে হবে না। বাঁচতে হলে নিজের পরিচয়ে বাঁচতে শিখতে হবে। এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে উইমেন্স ইম্পাওয়ারমেন্ট অরগানাইজেশন। এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারমেন নাজমা মাসুদ। তিনি একজন নারী উদ্যোক্তা। ওয়ান পেপার অ্যান্ড প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালক এবং স্টেপ ওয়ান গ্রুপের ডিএমডি হিসেবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি মাইডাস মিনি মার্টের গুলশান শাখার পরিচালক, উত্তরা মিনিমাটের শেয়ারহোল্ডার, বাংলাদেশ ফেডারেশনের সদস্য উইমেন্স এন্টারপ্রেনার অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী সদস্য। উইমা পলি রিসোর্টের পরিচালক। নন্দিনী ফ্যাশন হাউজের কর্ণধার। নাজমা মাসুদ ইম্পাত্তয়ারমেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন নামে একটি এনজিও চালাচ্ছেন। একজন সফল উদ্যোক্তা নাজমা মাসুদ দেশ-বিদেশের বিভিন্ন পুরস্কার অর্জন করেছেন। উইমেন্স ইম্পাওয়ারমেন্ট অরগানাইজেশনের সম্পর্কে তিনি বলেন, নারী উদ্যোক্তা তৈরি, কর্মসংস্থান, প্রশিক্ষণসহ নারীদের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে এই প্রতিষ্ঠানটি। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলের (যেখানে যাতায়াত ও সুযোগ-সুবিধাগুলো অপ্রতুল) প্রান্তিকপর্যায়ের পিছিয়ে পড়া, অশিক্ষিত ও অর্ধশিক্ষিত জনগোষ্ঠীর অসহায় কর্মক্ষম ও দুস্থ নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে প্রশিক্ষণ, পণ্য প্রদর্শনী ও বিক্রয়ের ব্যবস্থা করে থাকে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উদ্যোক্তাদের হাতের তৈরি সালোয়ার কামিজ, জামদানি শাড়ি, নকশি কাঁথা, পাঞ্জাবি, ফতুয়া এইসব মেলায় প্রদর্শনের সুযোগ করে দেন। মনিপুরী অঞ্চলের দুস্থ নারীদের অতি নিখুঁত হাতের কাজের পণ্য (কাপড়, ব্যাগ ও বিভিন্ন ডিজাইনের গয়না ও হ্যান্ডিক্র্যাফট দেশ-বিদেশের ক্রেতাদের কাছে বেশ সমাধৃত হয়েছে।
নাজমা মাসুদ বলেন, আমি পরিশ্রম আর অধ্যবসায়ের কারণে আজ নারী উদ্যোক্তা হতে পেরেছি। অনেক নারীই আছেন যারা তাদের মেধা কাজে লাগাতে পারেন না অর্থের অভাবে। আমরা তাদের সাহায্য করি।