নারী লিপ্স ইন্দিরা স্কুলের প্রধান শিক্ষক বেলালের নির্বাচনী কক্ষ মেরামতের অর্থ আত্মসাত

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ইন্দিরা স্কুলের প্রধান শিক্ষক আক্তারুজ্জামান বিলাল ২০১৬ সালে পিটিআআই প্রশিক্ষনকালে কয়রা উপজেলার এক মহিলা শিক্ষক রাজিয়া সুলতানার সাথে অবৈধ পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। তাদের অবৈধ মেলামেশা ধরাধরি হলে স্থানীয় কাউন্সিলরের মাধ্যমে সালিশ মিমাংসা হয়। এক পর্যায়ে রাজিয়া সুলতানা তার প্রথম স্বামীকে ডিভোর্স দেয় এবং ২০২৩ সালের মার্চ মাসে বিলালের সহযোগিতায় ভুয়া কাগজপত্র তৈরী করে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার চুপড়িয়া স্কুলে বদলি হয়ে আসে । অতঃপর রাজিয়া সুলতানা সাতক্ষীরা শহরের জনৈক প্রধান শিক্ষকের বাড়িতে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাসন করতে থাকে এবং বিলালের সাথে অবৈধ মেলামেশা চালিয়ে যায়। এক রাতে পুলিশের হাতে ধরা পড়লে বাড়ির মালিক তাকে তদবীর করে ছাড়িয়ে নেন এবং বাড়ি থেকে বের করে দেন। রাজিয়া সুলতানা পার্শবর্তী অন্য এক বাসা ভাড়া করে বসবাস করেন এবং বেলালের সাথে অবৈধ মেলামেশা চালিয়ে যেতে থাকে। বিষয়টি পত্র-পত্রিকায় আলোচনা সমালোচনা চলতে থাকলে বেলাল তার অন্যতম সহযোগী এবং মদদদাতা এটিইও রবিউলের পরামর্শে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এক ভুয়া কাবিন তৈরী করে রাজিয়া সুলতানার সাথে বিবাহের ঘোষনা জনসম্মুখে আনে। কাবিনে উকিল ও স্বাক্ষী হয় তার মদদদাতা এটিইও রবিউল। এই কাবিন সম্পর্কে জনমনে সন্দেহ রয়ে গেছে। এবিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহাঃ আব্দুল গনির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাজিয়া সুলতানাকে তার বদলির ভিত্তি স্বরূপ প্রমানক কাগজ পত্র চেয়ে লিখিত নোটিস দেয়া হয়েছে। কাগজপত্র জমা দিলে প্রকৃত তথ্য জানা যাবে । এছাড়া গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ভোট কেন্দ্র হিসাবে ইন্দিরা স্কুলে কক্ষ সংস্কার বাবদ নির্বাচন কমিশন হতে দুই লক্ষ টাকা বরাদ্দ ছিল। প্রধান শিক্ষক বেলাল প্রায় ৭৭ হাজার টাকা আত্মসাত করে। সংস্কার কাজ সম্পন্ন করে সে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে ১১৯৭ কেজি রডের ১৩০ টাকা কেজি দরে এক লক্ষ পঁচাত্তর হাজার ছয়শত দশ টাকার ভাউচার জমা দেয়। কিন্ত প্রকাশ্য জন সম্মুখে তদন্ত কালে উক্ত রডের গ্রীল খুলে ওজন করে মাত্র ৬০০ কেজি রডের হিসাব পাওয়া যায়। বাকি ৫৯৭ কেজি রডের মূল্য স্বরূপ ৭৭ হাজার ৬ শত ১০ টাকা সে আত্মসাত করে বলে প্রমানিত হয়। বেলালের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারি, সরকারি অর্থ আত্মসাত, ছাত্র/ছাত্রীদের মারধোর, অষ্টম শ্রেনীর বালেগ মেয়েদেরকে কুরুচিকর প্রস্তাব, স্কুল কমিটি ও অভিভাবকদের সাথে দুর্ব্যবহার এবং অসভ্য ভাষায় গালিগালাজ ইত্যাদি বিষয়ে অভিযোগ এনে ইন্দিরা স্কুলের এসএমসি ও গ্রামবাসি দুইশত পঞ্চাশ জনের অধিক মানুষের গণস্বাক্ষর সহ কতৃপক্ষের বরাবর দাখিল করলে উপজেলা প্রসাশনের পক্ষ হতে উপজেলা যুব-উন্নয়ন কর্মকর্তা ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা প্রসাশনের পক্ষ হতে শ্যামনগর উপজেলার এটিইও প্রকাশ চন্দ্র কে তদন্ত কার্যের দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়। পৃথক পৃথক তদন্তে শতশত মানুষের সম্মুখে উক্ত অভিযোগের সবগুলোরই সত্যতা মেলে। অধিকন্তু এই অভিযোগ কর্তৃপক্ষ বরাবর উত্থাপন না করার জন্য এসএমসির সভাপতি কে দুই লক্ষ টাকা উৎকোচ প্রদানের প্রস্তাব দিলে সভাপতি তা প্রত্যাখ্যন করেন।

এটিইও রবিউলের দুর্নীতির গোমর ফাঁস , উপজেলা শিক্ষা অফিস সাতক্ষীরা সদরে পূর্বে কর্মরত এটিইও রবিউলের আর্থিক দুর্নীতি ও অবৈধ ব্যবসায়ে বাদ সাধায় উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহাঃ আব্দুল গনির সাথে তার সম্পর্কের চিড় ধরে এবং এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে অর্ন্তদ্বন্দ্ব চরম রূপ পরিগ্রহন করে। তার দুর্নীতি এবং উর্ধতনদের সাথে ঔদ্ধত্য পুর্ন আচারন ও উদ্ধতনদের সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্যের জের ধরে কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে মন্ত্রনালয় ও অধিদপ্তরে রিপোর্ট প্রেরন করেন, যার ফলস্রুতিতে তাকে বরিশাল জেলার মেহেদিগঞ্জ উপজেলায় বদলি করা হয়। সে দুই মাস পুর্বে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে ছাড়পত্র গ্রহন করলেও অদ্যাবধি তার বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদান করেনি। দিব্যি সে সাতক্ষীরা শহরে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং প্রচার করছে যে, আমি মেডিকেল ছুটিতে আছি। জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে এটা কী ধরনের মেডিকেল ছুটি ? আর যোগদান না করলেও কোন কর্তৃপক্ষ তাকে দাপিয়ে বেড়ানোর জন্য মেডিকেল ছুটি অনুমোদন করেছেন? সাতক্ষীরা অবস্থান করে সে তার সহযোগী হিসেবে এক কুখ্যত ও নারী লিপ্স প্রধান শিক্ষক বেলাল ও দক্ষিন ফিংড়ী স্কুলের সহকারি শিক্ষক মনিরুজ্জামান কে নিয়ে শিক্ষা অফিসের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। উপজেলা শিক্ষা অফিসার সহ যে সকল কর্মকর্তা তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিবে তাদেরকে তারা শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত করার হুমকি দিচ্ছে। বিভিন্ন গনমাধ্যম ইতমধ্যে এবিষয়টি নিয়ে সুশীল সমাজের দৃষ্টি আকর্ষন করেছে। তারা ২০২৪ সালের ১লা জানুয়ারি মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর স্বপ্নের বই বিতরণ মেলা সম্পর্কে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমকে মিথ্যা তথ্য সরবারহ করে। এতে করে তারা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম, জেলা প্রসাশন, উপজেলা প্রসাশন ও শিক্ষা প্রসাশনের বিরাগভাজন হয়ে পড়ে। এটিইও হিসেবে রবিউল চাকরী করলেও এর আড়ালে তার প্রধান কাজ মুলত প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্রশ্নপত্র ফাঁস ও চাকরী দেয়ার নামে নিয়োগ বানিজ্য, যার প্রেক্ষিতে সে তার ১৪ বছরের চাকরী জীবনে ৮ বার পানিশমেন্ট বদলি হয়। এমন কি সে প্রশ্ন ফাঁসের অপরাধে একবার বিভাগীয় মামলার শিকার হয় এবং বরখাস্ত হয়। এহেন রাষ্ট্র বিরধী কার্যক্রমের সাথে সাথে সে সাতক্ষীরা জেলার নেতৃস্থানীয় শিক্ষকদের নিয়ে একটা ব্যবসায় চালু করবে বলে তোড়জোড় শুরু করে। যে ব্যবসায়ের মাধ্যমে জেলা ব্যপি প্রতিটি বিদ্যালয়ে স্লিপের মালামাল, ক্ষুদ্র মেরামতের মালামাল সর্বরাহ করবে। জেলার টিইও সাহেবরা জানতে পেরে এবিষয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তার নিজ উপজেলার টিইও সাহেব জনাব আব্দুল গনি এ বিষয়ে মৌখিকভাবে নিষেধ করলে তার সাথে শত্রুতার সূত্রপাত হয়। ফলে এই কুচক্রের বিরুদ্ধে জেলা ব্যপি সুশীল সমাজ দৃঢ় অবস্থান নেন। রবিউল ইসলাম সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মিশন ক্লাস্টারের দ্বায়িত্বে থাকা কালিন অর্থের বিনিময়ে স্লিপের বই, শিক্ষক ডায়েরি ১,২ নিজে প্রস্তুত করে দেয়। ডায়েরি প্রতি ২৪ শত টাকা এবং স্লিপের বই প্রতি ৫ শত টাকা প্রধান শিক্ষকদের নিকট থেকে জোর করে আদায় করে। এবিষয়ে প্রধান শিক্ষকগন অভিযোগ নামায় স্বাক্ষর করা শুরু করলে অভিযোগটি অফিসে উত্থাপন না করার জন্য রাতের আধারে সে শিক্ষকদের হাতে ধরে মাফ চেয়ে নেয়। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক আক্তারুজ্জামান বিলালের বক্তব্য নেওয়ার জন্য বারবার ফোন দিলে ফোন রিসিভ করেননি। সুশীল সমাজ ও এলাকাবাসী উদ্বোধন কর্তৃপক্ষের কাছে আকুল আবেদন জানায়, ভবিষ্যতে এরকম দুশ্চরিত্র শিক্ষকের যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়।