নারীরা এখন বাইরে যাচ্ছে, কাজ করছে যার কারণে বর্তমানে নারী-পুরুষের সহাবস্থানের কথা আমরা চিন্তা করছি। কিন্তু আমাদের নিষ্ঠুর মানসিকতা সেখানেও আঘাত করছে। যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে নারীকে অবমূল্যায়ন এবং নারীদের অর্জনকে শ্রদ্ধা না করে বরং তাদের উত্ত্যক্ত, ব্যঙ্গ ও হেয় করার মানসিকতা থেকেও আমাদের সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি বোঝা যায়। সৃষ্টিকর্তার সবচেয়ে বড় সৃষ্টি মানুষ। মানুষের প্রতি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি যদি খারাপ হয় সেটা হবে সবচেয়ে নিকৃষ্ট অপরাধ। আমাদের মধ্যে নারী ও পুরুষের যৌথ ও শান্তিপূর্ণ এবং যৌক্তিক সহাবস্থান নিশ্চিত করার প্রচেষ্টা থাকতে হবে। যা শেষ পর্যন্ত উভয়ের মধ্যে ক্ষমতার সুষ্ঠু ও যৌক্তিক বণ্টনের মাধ্যমে ভারসাম্য নিশ্চিত করবে। এ ক্ষমতা আর্থিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিকÑ এই ভারসাম্য থাকতে হবে নারীর জীবনে পরিবারে সমাজে ও রাষ্ট্রে। কথাগুলো বলেছেন শারমিন সেলিম তুলি।
নারীর প্রতি অসম্মান, অবহেলা, তাচ্ছিল্য আর বিদ্বেষের কালো মেঘে আমাদের সমাজ এখনো অন্ধকারাচ্ছন্ন। এই অন্ধকারে নারীকে পথ চলতে হয় একাকী। তাই নারীকে অন্ধকার পথে একলা চলার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে। এ জন্য অন্ধকারে পথ দেখতে নারীকে নিজেই নিজের প্রদীপ হতে হবে। আলোকিত নারী কল্যাণ ফাউন্ডেশন নারী উন্নয়ন ও নারী সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করে যাচ্ছে। নারী উদ্যোক্তা তৈরি, নারীদের উন্নয়নমূলক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ, নারীর জন্য কর্মসংস্থান তৈরি, প্রশিক্ষণ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং নারীদের উন্নয়নের জন্য নারীদের মূল অর্থনৈতিক ধারায় সম্পৃক্ত করাই এই ফাউন্ডেশনের মূল লক্ষ্য। শারমিন সেলিম তুলি একজন নারী উদ্যোক্তা। সমাজসেবক, সংগঠক এবং লেখক। সফল নারী উদ্যোক্তা হিসেবে ২১ বছর ধরে সাফল্যের সাথে কাজ করছেন। তার এই অনবদ্য অবদান তাকে ভিন্নতা দিয়েছে। তিনি নারী উদ্যোক্তা হিসেবে এবং সামাজিক কর্মকাণ্ডে বিশেষ অবদান রাখায় একাধিকবার বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। তিনি ভার্সেটাইল এসস্কটিন লিমিটেডের চেয়ারপারসন, স্রোতধারা ফ্যাশন হাউজ, বেয়ার বিজ বডি ওয়েক্স অ্যান্ড বিউটি সেলুন, বেয়ার বিজ ফিটনেস সেন্টারের কর্ণধার। একই সাথে মডার্ন লাইফ হাসপাতাল, নবাবগঞ্জের চেয়ারপারসন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আলোকিত নারী ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারপারসন শারমিন সেলিম তুলি। ওমেন্স চেম্বার অব কমার্স, লায়ন্স ক্লাব, গুলশান ক্লাব নর্থ-এর সক্রিয় সদস্য।