দুই বিসিএসের নন–ক্যাডার থেকে ৭৩১ জনকে নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি)। আজ বুধবার বিশেষ সভা শেষে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে পিএসসি।
পিএসসির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
ওই সূত্র জানায়, ৩৭তম বিসিএস থেকে ১৬৭ জন ও ৩৯তম বিসিএস থেকে ৫৬৪ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করবে পিএসসি। এর মধ্যে ৩৭তম বিসিএস ছিল সাধারণ বিসিএস ও ৩৯তম বিসিএস ছিল চিকিৎসকদের বিশেষ বিসিএস।
পিএসসি সূত্র জানায়, ৩৭তম বিসিএসে ৩ হাজার ৪৫৪ জনকে নন-ক্যাডারে অপেক্ষমাণ রাখা হয়। এই বিসিএসে থেকে আগে ৬৯২ জনকে প্রথম শ্রেণিতে ও ৮৮৫ জনকে দ্বিতীয় শ্রেণির পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। এই ১৬৭ জনকে নিয়োগ দেওয়ার মাধ্যমে ১ হাজার ৭৪৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।
৩৭তম বিসিএসের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় ৪ হাজার ৭৬৮ জন উত্তীর্ণ হলেও বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের জন্য ১ হাজার ৩১৪ জনকে সুপারিশ করা হয়।
অপর দিকে ৩৯তম বিশেষ বিসিএসে পিএসসি থেকে ৪ হাজার ৭৯২ জন চিকিৎসক নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। এরপরই ৩৯তম বিসিএসে উত্তীর্ণ নন-ক্যাডার ৮ হাজার ৩৬০ জনের নাম ঘোষণা করা হয়। এই অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে এখন ৫৬৪ জন চিকিৎসককে নিয়োগের সুপারিশ করবে পিএসসি।
এই বিসিএসের ৮ হাজার ৩৬০ জন ক্যাডার হিসেবে অন্তর্ভুক্তির জন্য বেশ কিছুদিন থেকে আন্দোলন করে আসছে। অবশ্য পিএসসি ৩৯ বিসিএসের চূড়ান্ত সুপারিশের আগে ওই বিসিএস থেকে প্রায় দুই হাজার চিকিৎসক বেশি নিয়োগের উদ্যোগ নেয়। তবে এতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সাড় দেয়নি।
৩৯তম বিসিএসে ৪ হাজার ৪৪৩ জন চিকিৎসককে স্বাস্থ্য ক্যাডারে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। গত ৮ ডিসেম্বর তাঁরা যোগদান করেছেন। পরে তাঁদের দেশের বিভিন্ন স্থানে পদায়ন করা হয়েছে।