নওগাঁর নিয়ামতপুরে শিশু মাসুমা হত্যার আসামি গ্রেপ্তার

মির্জা তুষার আহমেদ, নওগাঁ : নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলায় এক শিশুকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করেছে এক প্রতিবেশী। (গত ২৩ জুন রোববার) সন্ধ্যার পর উপজেলার ৮নং বাহাদুরপুর ইউনিয়নের গয়েশপুর মধ্যপাড়া গ্রামের এক জঙ্গল থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সময় গামছা দিয়া মুখ ও গলায় রশি দিয়ে বাধা অবস্থায় পরে ছিল।সংবাদটি পুলিশের কাছে আসা মাত্র, ভারপ্রাপ্ত ওসি মোঃকওসার আলম, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক পিপিএম সাহেবের নির্দেশে, তৎক্ষনাৎ ঘটনা স্হলে পৌছলে জনগণের সহায়তায় আাসামী আমরুল ইসলাম (৪৫) কে গ্রেপ্তার করেছে নিয়ামতপুর থানা পুলিশ। আসামী কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি বলেন আমি মাসুমাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছি বলে পুলিশের কাছে স্বীকার উক্তি দেয়। মাসুমার বাবার করা হত্যা মামলায়, গ্রেপ্তার কৃত আসামি কে সোমবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিয়ামতপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ভারপাপ্ত ওসি মোঃকওছার আলম।
নিহত শিশু মাসুমা খাতুন (১২)। সে গয়েশপুর গ্রামের মোহাম্মদ এমদাদুলের মেয়ে ও গুজিশহর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী। এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মাসুমার বাবা এমদাদুল ও হত্যা মামলার আসামি আমরুল ইসলামের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক বিরোধ চলছিল। গত রোববার বিকেলে মাসুমা প্রাইভেট শেষে তার মায়ের সঙ্গে মাঠে ছাগল চরাতে যায়। মাঠে ছাগল বেঁধে বাড়ি ফিরে আসে। বাড়ি ফিরে মাসুমা তার মাকে জানায় প্রতিবেশী আমরুল ইসলাম তাকে ডেকেছে। তবে সন্ধ্যা হয়ে গেলেও বাড়ি ফিরে না আসায় তার মা বারবার আমরুলের বাসায় গিয়ে রুমের ভেতর থেকে দরজা বন্ধ ও সাড়া শব্দ না পেয়ে বিভিন্ন দিকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে মাসুমার মা এমদাদুলকে বিষয়টি জানালে তিনিসহ তাঁর ভাই ভাতিজা খোঁজ করতে গিয়ে আসামির বাড়ির পাশে পাকা রাস্তাসংলগ্ন জঙ্গলে যায়। এ সময় শিশুর মুখ গামছা দিয়ে বাঁধা ছিল। এ ছাড়া গলায় ওড়না ও রশি প্যাঁচানো ছিল। সেখান থেকে শিশুকে উদ্ধার করে গুজিশহর বাজারে গ্রাম্য ডাক্তারের কাছে নেওয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ভারপ্রাপ্ত ওসি মোঃকওছার আলম বলেন, এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। আসামী কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যার ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে। মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ের জন্য মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।