বিশেষ প্রতিবেদকঃ-ভোলা জেলাধীন দৌলতখান উপজেলায় প্রতিপক্ষকে মামলা দিয়ে ফাঁসানোর জন্য রিনা বেগম (৪২) নামক এক সুস্থ নারীকে দৌলতখান স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করার অভিযোগ লিখিত করেন এক ভুক্তভোগী পরিবার। ভুক্তভোগী নাহিদ সজিব এ বিষয়ে দৌলতখান উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগে তুলে ধরেন, জমি জমা নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে অভিযুক্ত রিনা বেগমের স্বামী তরিকুল ইসলাম ভুক্তভোগী ও তার পরিবারকে মিথ্যা নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা দিয়ে জেলের ভাত খাওয়ানোর হুমকি দেয়, এ সংক্রান্ত বিষয়ে ভুক্তভোগী নাহিদ সজীব দৌলতখান থানায় সাধারণ একখানা ডায়েরি করেন। ওই অভিযোগে আরো তুলে ধরা হয় অভিযুক্ত রিনা বেগম ও তার পরিবার দীর্ঘদিন যাবত ভুক্তভোগী ও তার পরিবারকে উৎখাতের জন্য একের পর এক হয়রানি মূলক মামলা সহ নানা ধরনের প্রাণ প্রাণনাশের হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে। মূলত অভিযোগকারী নাহিদ সজিব হাসপাতালে ভর্তিকৃত রিনা বেগমকে সম্পূর্ণ সুস্থ দাবী করে, মিথ্যা মামলা থেকে বাঁচতে হাসপাতালে ভর্তিকৃত ওই নারীকে ভালোভাবে ডাক্তারি পরীক্ষা করে ছাড়পত্র দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এবং পাশাপাশি সুস্থ হওয়ায় ওই নারীকে হাসপাতাল থেকে ভর্তি বাতিলের দাবিও করেন। বিষয়টি নিয়ে দৌলতখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনুসন্ধানে গেলে অভিযুক্ত রিনা বেগমকে হাসপাতালের বিছানায় বেশ হাসি উজ্জ্বল অবস্থায় তথ্যচিত্রে দেখা যায় তবে উক্ত বিষয়ে ক্যামেরার সামনে রিনা বেগম কোন কথা বলতে রাজি হননি। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক অফিসারের আমিন সরকারের সাথে যোগাযোগ করলে, তিনি জানান যেকোনো রোগী হাসপাতালের চিকিৎসা নেওয়ার অধিকার রয়েছে, তবে তার শরীরে কোন ধরনের আঘাতে চিহ্ন পাওয়া যায়নি, আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। বিষয়টি নিয়ে দৌলতখান থানা অফিসার ইনচার্জ এর নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, রিনা বেগম এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ করেনি অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দেখা হবে। উল্লেখ্য ভুক্তভোগী মোহাম্মদ নাহিদ সজিব চর খলিফা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের কাজী বাড়ির নুরে আলম কাজীর ছেলে। অন্যদিকে ভুক্তভোগীর পরিবার অভিযুক্ত রিনা বেগমের পরিবার তারা একই বাড়িতে দৈর্ঘ্য ২৫ বছর যাবত বসবাস করে আসছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় জমি জামার বিরোধকে কেন্দ্র করে এক পক্ষ অপর পক্ষকে মামলা দিয়ে ফাঁসানোর জন্য এধরনের ঘটনার সুত্রপাত সৃষ্টি হয়।